সম্প্রতি পূজামণ্ডপে সহিংসতায় ইন্ধনদাতাদের নাম শিগগির প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ তিনি এ কথা বলেন। সংগঠনের সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।
তিনি বলেন, কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখাকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ১০টি মামলা হয়েছে। রংপুর ও নোয়াখালীর ঘটনায় গ্রেফতাররা ইন্ধনদাতাদের নাম জানিয়েছেন। ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে তারা এসব নাম জানিয়েছেন। তবে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়ে তাদের নাম আপনাদের সামনে প্রকাশ করবো। সেখানে বিএনপি-জামায়াত আছে কি না সেটা এখনই বলতে চাচ্ছি না। আমরা নিশ্চিত হয়েই আপনাদের জানাতে চাই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতেন। তিনি বলে গেছেন, এদেশ সবার; এদেশে ধর্ম নিয়ে কোনো বৈষম্য হবে না। এদেশ হবে ধর্মনিরপেক্ষ। আমরা সেই আদর্শ ধারণ করে চলেছি। আমি দেখেছি, হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই যার যার ধর্ম পালন করে আসছেন। কিন্তু ইদানীং পূজামণ্ডপে সহিংসতা হচ্ছে। পূজামণ্ডপে কে বা কারা কোরআন শরিফ রেখে একটা বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, আমাদের ধারণা ছিল, জুমার নামাজের পর অসুবিধা হতে পারে। আমরা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বলেছিলাম, তার আগেই প্রতিমা বিসর্জন দেবেন এবং তারা তা করেছেন। আমাদের নামাজও ঠিকভাবে শেষ হলো। কিন্তু দুভাগে বিতর্ক শুরু হলো। একপক্ষ পুলিশের সামনে হল্লা শুরু করলো। আরেকপক্ষ পুলিশকে ব্যস্ত রেখে ধ্বংসযজ্ঞ চালালো। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলো। সেখানে বেশকিছু ভাঙচুর হয়েছে। ওই সময় পুকুরে ঝাঁপ দেওয়ায় একজন মারা যায়।
মন্ত্রী আরও বলেন, এ সহিংসতা সুপরিকল্পিতভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করতে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য করেছে একটি মহল। এ ঘটনায় গ্রেফতারদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে, এতে অনেকের নাম জানা গেছে। শিগগির কারা এসব ঘটিয়েছে তা উদ্ঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
জয়নিউজ/পিডি