ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির অধীনে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত ৬ নভেম্বর এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর এ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ ওঠে।
বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম পরীক্ষা বাতিলের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক ও ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্য মো. আজিজুল হকের সই করা বিজ্ঞপ্তিতেও পরীক্ষা বাতিলের বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির সদস্যভুক্ত পাঁচটি ব্যাংকের (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক) অফিসার-ক্যাশ এর ১ হাজার ৫১১টি শূন্য পদে সরাসরি নিয়োগের লক্ষ্যে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ১ ঘণ্টাব্যাপী ১০০ নম্বরের পরীক্ষাটি অনিবার্য কারণবশত বাতিল করা হলো। পরীক্ষার পরবর্তী তারিখ ও সময়সূচি বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশ করা হবে।
সম্প্রতি ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় সরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এছাড়া পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদের পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত রোববার (৭ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের কাছে স্মারকলিপি দেন পরীক্ষার্থীরা।
এদিকে সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ও রূপালী ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্যাংক দুটির সংশ্লিষ্ট বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন— রূপালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার জানে আলম মিলন, জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল, জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার এমদাদুল হক খোকন ও সোহেল রানা।
প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৬ নভেম্বর থেকে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকের তিন কর্মকর্তা এবং রূপালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের তেজগাঁও জোনাল টিম।
বাংলাদেশ ব্যাংক এ পরীক্ষার দায়িত্ব দিয়েছিল বেসরকারি আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর। প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামান রয়েলকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সবশেষ তথ্যানুযায়ী বেসরকারি এ বিশ্ববিদ্যালয়টির ওপর আর কোনো পরীক্ষার দায়িত্ব না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
আগামী ১৩ ও ২০ নভেম্বর আহছানউল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠেয় তিন ব্যাংকের ২টি পদের পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছে।