ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রথম দুই ধাপের তুলনায় তৃতীয় ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হওয়ার সংখ্যা অনেক বেশি। এ ধাপে একশ’জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৫৬৯ জন জনপ্রতিনিধি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এখন বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মধ্যে ৩৩৭ জন সাধারণ সদস্য ও ১৩২ জন সংরক্ষিত সদস্য।
বৃহস্পতিবার তৃতীয় ধাপের এক হাজার ৪টি ইউনিয়ন পরিষদে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়। এদিন ৬৭১ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ তিন হাজার ১৭৭ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেন। এরপরই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিতদের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। পাশাপাশি যেসব পদে একাধিক প্রার্থী চূড়ান্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন তাদেরও তালিকা স্থানীয়ভাবে প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
শুক্রবার এসব প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। একইসঙ্গে শুরু হবে নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। আগামী ২৮ নভেম্বর এ ধাপের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় ধাপে চূড়ান্তভাবে এখন মাঠে রয়েছেন ৫০ হাজার ১৪৬ প্রার্থী। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে চার হাজার ৪০৯ জন, সাধারণ সদস্য পদে ৩৪ হাজার ৬৩২ জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ১১ হাজার ১০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জানা গেছে, বিনা ভোটে জয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে তৃতীয় ধাপেও এগিয়ে আছে চট্টগ্রাম অঞ্চল। এ অঞ্চলের ৭৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২৯টিতেই চেয়ারম্যানরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। এরপরের অবস্থানে থাকা কুমিল্লা অঞ্চলের ১১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ২২টির চেয়ারম্যান বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ঢাকা অঞ্চলের ৭৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ১৬টিতে চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন।
আগের দুই ধাপের মধ্যে গত ২১ জুন অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ২০৪ ইউপিতে ২৮ জন চেয়ারম্যান ও গত ২০ সেপ্টেম্বর একই ধাপের ১৬০টিতে ৪৪ জন চেয়ারম্যান, ৩৯ জন সদস্য ও সাত জন সংরক্ষিত সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ৮৩৪টি ইউনিয়ন পরিষদে ৮০ জন চেয়ারম্যান, ২০৩ জন সাধারণ সদস্য ও ৭৩ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে বিনা ভোটে জয় পান।