শরতের আকাশে থাকে না কালো মেঘ। ছুটিতে থাকা বৃষ্টি তাই কালেভদ্রেই পড়ে। কিন্তু এ শরতে হঠাৎ চলে এল ঘূর্ণিঝড় ‘তিতলি’। যেন অসময়ে পরীক্ষার রুটিন!
উড়িষ্যা থেকে দুর্বল হয়ে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসা তিতলির প্রভাবে বুধবার দিনভর বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টির এই ধারাবাহিকতা রয়েছে বৃহস্পতিবারও। আগামী শনিবার পর্যন্ত টানা বৃষ্টিপাত হবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানানো হয়, তিতলির প্রভাবে উপকূলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হবে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দর এবং কক্সবাজারে বিপদসঙ্কেত চার নম্বর থেকে তিনে নেমে এসেছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে নগরের অনেক এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হয়েছে চাকরিজীবীদের। আবার অনেক অভিভাবক দুর্ভোগ এড়াতে শিশুসন্তানকে নিয়ে স্কুলমুখো হননি।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সুপারভাইজর প্রদীপ কান্তি জয়নিউজকে জানান, সকাল সাড়ে ১০টায় তিতলি ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য অন্ধ্র প্রদেশ ও উড়িষ্যায় আঘাত হেনেছে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) নগরজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতসহ ঝরো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বৃষ্টি।
জয়নিউজ/আল্পনা