জাতীয় অর্থনীতি পরিষদে (একনেক) পাস হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশেন (চসিক) ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্প। বৃহষ্পতিবার (১১ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত দশম একনেক সভায় জিরো ম্যাচিং ফান্ডের এ প্রকল্পটি পাস করা হয়।
নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ উন্নত করার লক্ষ্যে ‘সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও বাস- ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ’ প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল চসিক। প্রকল্প বাস্তবায়নে ১০ শতাংশ ম্যাচিং ফান্ড চসিকের বহন করার শর্ত ছিল। তবে এ শর্ত তুলে নিতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়েছেন সভায় উপস্থিত থাকা চসিক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন।
এদিকে ১ হাজার ২৩০ কোটি টাকার প্রকল্প পাস হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নগরপিতা আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের ভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছিলেন। তিনি তাঁর ওয়াদা পূরণে একের পর এক উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়ে চট্টগ্রামকে নিজের মতো সাজিয়ে তুলছেন। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতা অক্ষুন্ন রাখতে নগরপিতা আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে চট্টগ্রামবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, সড়ক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন ও বাস-ট্রাক নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২৩০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত। তিন অর্থ বছরে ধারাবাহিক অর্থায়নের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ৩৮২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩৯৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৪৫১ কোটি ৬৫ লাখ টাকা অর্থায়ন করা হবে।
প্রকল্পের আওতায় নগরের ৪১ ওয়ার্ডজুড়ে ৭৫৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩২০.০৭ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন করা হবে। ১৩৯ কোটি ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হবে ৩৭টি ব্রিজ (এপ্রোচ রোডসহ)। এয়াড়া ১৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ২১৫ মিটার দীর্ঘ এপ্রোচ রোডসহ কালভার্ট নির্মাণ, বাস-ট্রাক টার্মিনালের অবকাঠামো উন্নয়নে সাড়ে ৭ কোটি টাকা,ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ ইয়ার্ড নির্মাণে ২৫ কোটি টাকা, টার্মিনালের জন্য ৮ দশমিক ১০ একর ভূমি ক্রয় বাবদ ২৬০ কোটি টাকা এবং টার্মিনালের জমির উন্নয়ন বাবদ ৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।
সবমিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ২০৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। বাকি ২৪ কোটি টাকা প্রকল্পের অনির্ধারিত খরচ নির্বাহে ব্যয় করা হবে।
জয়নিউজ/কাউছার/জুলফিকার