কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৭নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মো. সোহেলকে কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয় কাউন্সিলের সহযোগী আওয়ামী লীগ কর্মী হরিপদ সাহা। পরে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তারও মৃত্যু হয়। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মহিউদ্দিন কাউন্সিলরসহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে নগরের পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় আরও অন্তত সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। কাউন্সিলর সোহেল ওই এলাকার সৈয়দ মো. শাহাজানের ছেলে। ছয় ভাই ও চার বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে আছে।
রাত ৮টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত। তিনি বলেন, ‘সোহেল মারা গেছে। আমরা তার হত্যার বিচার চাই।’ এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আওলাদ হোসেন রিজু (২৩), জুয়েল (৪০), রাসেল (২৮), মাজেদুল হোসেন বাদলসহ (৩০) সাতজন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেল ৪টার সময় কয়েকজন কালো মুখোশধারী লোক কাউন্সিলরের অফিসে প্রবেশ করে। প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তারা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। গুলিবিদ্ধ সোহেল নিজের চেয়ার থেকে পড়ে যান। আওয়াজ শুনে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা সীমান্তবর্তী বউবাজার এলাকার দিকে পালিয়ে যায়। এ সময় হামলাকারীরা গুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
হামলাকারীদের পিস্তলের দুটি গুলি সোহেলের মাথায়, দুটি বুকে, অন্য চারটি গুলি পেটে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। হরিপদের গুলি লেগেছে বুকে ও পেটে। অন্য আহতরা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
কাউন্সিলর সোহেলের ভাগ্নে মোহাম্মদ হানিফ বলেন, ‘সবাই আছরের নামাজ পড়ছিল। এ সময় গুলির আওয়াজ শোনা যায়। দৌঁড়ে গিয়ে দেখি মামা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। আমি মামাকে কাঁধে করে বের করি। পরে সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।’
নগরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হানিফ মিয়া জানান, নেতাকর্মীদের নিয়ে কাউন্সিলর সোহেল বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেল নিয়ে এসে কয়েকজন সন্ত্রাসী অতর্কিত গুলি চালায় তাদের দিকে। এ ঘটনায় আরও ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়।
কুমিল্লার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।’