খালেদা জিয়াকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে বিদেশে যেতে পারবেন খালেদা। তার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি না করে ক্ষমা চেয়ে স্বাধীনভাবে যেকোনোখানেই যেতে পারেন তিনি।
শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম (বোয়াফ) এর আয়োজনে প্রধান অতিথি বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি এখন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক স্ট্যান্ডবাজি করছে উল্লেখ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, উনি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে কারাগারে ওনার সেবার জন্য একজন নিরপরাধ মানুষকে নিয়োজিত করা হয়েছিল। পৃথিবীতে এমন ঘটনার কোন নজির নেই। খালেদা জিয়ার অসুস্থতাকে কাজে লাগিয়ে, মাঠ গরম না করে তার সুস্থতা জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন।
জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের দোসরদের গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা তুলে দিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়েই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। আমরা অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়েই মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। সেই স্বাধীনতার ওপর আঘাত মুক্তিযুদ্ধের পরেই আনা হয়। কিন্তু পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়েই এর চূড়ান্ত রূপ নেই। এর পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় আসে, সেই অপশক্তিকেই তারা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সাহস দিয়েছিল।
২০০৫ সালে ১৭ আগস্টে সিরিজ বোমা হামলা করে সারা দেশে হামলা চালিয়ে দেশে জঙ্গিদের একটা শক্ত অবস্থান জানান দিয়েছিল বিএনপি। আমরা দেখেছি, বাংলা ভাই প্রকাশ্যে তার এলাকায় মিছিল করেছিল। বিএনপি জোটের মদদেই এটা ঘটেছিল। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্রের ওপর জঙ্গি হামলার পরিকল্পনা করেছিল। গ্রেনেড হামলা চালিয়ে তারা ২৪ জনকে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশ প্রায় একটা জঙ্গি দেশেই রূপান্তরিত হয়ে গিয়েছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর সে অবস্থা থেকে বাংলাদেশকে রক্ষা করেছেন।
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ধারাবাহিকতা হলি আর্টিজানের মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে যা এক প্রকার ধর্মীয় উগ্রবাদ থেকেই ঘটিয়েছিল। জঙ্গিবাদ শুধু বাংলাদেশেই নয়। এটা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, আমাদের আত্মতুষ্টিতে যাওয়ার সুযোগ নেই। জঙ্গিবাদ এখনো বিশ্বব্যাপী রয়েছে। আফগানিস্তান, মিয়ানমার সব খানেই তারা শক্তিশালী।