ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আর পিছিয়ে যাবে না, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ ইনশাআল্লাহ সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা গড়ে তুলবো।
বৃহস্পতিবার (০২ ডিসেম্বর) ‘ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স-২০২১’ এবং ‘আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স-২০২১’ এর গ্রাজুয়েশন অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। মিরপুর ক্যান্টনমেন্টের শেখ হাসিনা কমপ্লেক্সে আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের এটুকুই বলবো যে, আমার ৪১ এর যে প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, তারই অগ্রসেনা হিসেবে আপনারা কাজ করে যাবেন, আমি আশা করি। আর ২০৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তি হবে, সেটাও আমাদের মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে সরকারপ্রধান বলেন, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো ক্রান্তিলগ্নে সর্বোচ্চ আত্মত্যাগে সদা প্রস্তুত থাকে। তারা বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সম্মুখসারীর যোদ্ধা হিসেবে নানাবিধ কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে।
দেশের বাইরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শান্তি নিশ্চিতকরণে দক্ষতা ও নিষ্ঠার পরিচয় দিয়ে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে। আমরা সর্বোচ্চ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে গৌরবের স্থানটি ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা সাড়ে তিন বছরে বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে গিয়েছিলেন। ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা পেয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে। আর ২০২১ সাল আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেলাম।
সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের প্রশিক্ষিত ও যুগোপোযোগী সামরিক বাহিনী গঠনের লক্ষ্যে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ণ করেছি। আর্মস ফোর্সেস গোল ২০৩০ বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। আমাদের লক্ষ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে যেন আমাদের সেনাবাহিনী চলতে পারে।
এসময় আধুনিক ও যুযোপোযোগী সশস্ত্র বাহিনী গড়তে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে নেওয়া বিভিন্ন উন্নয়নকাজের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
এবারে এনডিসি কোর্সে ২৭ জন বিদেশিসহ মোট ৮৮ জন এবং এএফডব্লিউসি কোর্সে মোট ৫৫ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিয়েছেন। অনুষ্ঠানে তিন বাহিনী প্রধান, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি) কমান্ড্যান্টসহ ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি