গত এক মাসে নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়, রুট পারমিট না থাকাসহ নানা অপরাধে ৫৬টি বাসকে ডাম্পিংয়ে পাঠিয়েছেন বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেটরা। একইসময়ে বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও সরকারি দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়ায় কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে পাঁচ বাসচালককে।
এ সময়ে ঢাকা মহানগরীর ১ হাজার ৪০৮ বাসকে ৫৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া একই অপরাধ বারবার করায় ২৫টি বাস কোম্পানির রুট পারমিট বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট কমিটির (আরটিসি) কাছে সুপারিশ করেছেন বিআরটিএ ম্যাজিস্ট্রেটরা।
কোম্পানিগুলো হলো— বসুমতি, রাইদা, পরীস্থান, এমএম লাভলী, অনাবিল, আলিফ, লাব্বাইক, তুরাগ, বলাকা, স্বাধীন, প্রজাপতি, রজনীগন্ধা, শিকড়, আকাশ, আজমেরী, মনজিল, প্রভাতি-বনশ্রী, আসমানী, প্রচেষ্টা, ভিক্টর, মিডলাইন, ডি-লিংক, রাজধানী, গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন ও ভিআইপি পরিবহন।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিআরটিএ থেকে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিআরটিএ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই সুপারিশের কথা জানানো হয়।
বিআরটিএ পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলম জানান, বিআরটিএ ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে।
এ সময় সবচেয়ে বেশি নিয়ম ভেঙেছে বসুমতি ১৬ বার, রাইদা ১৩ বার, পরিস্থান ১১ বার, এমএম লাভলী ও অনাবিল ১০ বার, আলিফ ৯ বার, লাব্বাইক ৮বার, তুরাগ, বলাকা ও স্বাধীন ৭ বার, প্রজাপতি, রজনীগন্ধা ও শিকড় ৬ বার, আকাশ, আজমেরী, মনজিল, প্রভাতি ও বনশ্রী ৫ বার। আসমানী, প্রচেষ্টা, ভিক্টর, মিডলাইন, ডি লিংক, রাজধানী, গুলিস্তান-গাজীপুর পরিবহন, ভিআইপি বাস ৩ বার করে অপরাধ করেছে।
বারবার অপরাধকারী বাস কোম্পানিগুলোর রুট পারমিট বাতিলের জন্য আইনগত ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।