নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিক, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর দমন, নিপীড়ন ও গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে তিন দেশের ১৫ সরকারি কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক সম্পদ নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (ওএফএসি)। এর মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) বর্তমান ও সাবেক ছয় কর্মকর্তা।
শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) প্রকাশিত ওএফএসির এই তালিকায় থাকা বাংলাদেশি কর্মকর্তারা হলেন— র্যাবের বর্তমান মহাপরিচালক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক খান মোহাম্মদ আজাদ, সাবেক মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক তোফায়েল মুস্তাফা সারওয়ার, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ও সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার লতিফ খান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও র্যাবের কোনো কর্মকর্তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ হিসেবে গত ৭ ডিসেম্বর মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরীহ বেসামরিক নাগরিক, বিরোধী দল ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কারণে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
গণতন্ত্রের প্রতি মার্কিন সরকারের সর্বাত্মক নিবেদনের অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের জবাবদিহি নিশ্চিতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে, যারা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। দুর্নীতি ও নিপীড়ন থেকে বাজে লোকেদের লাভবান হওয়ার পথকে রুদ্ধ করতে এবং তাদের আর্থিক লেনদেন ও ব্যবস্থাকে সীমিত করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা শক্তিশালী উপায়গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই তালিকার সঙ্গে সঙ্গে ওএফএসি ইরানের দুটি প্রতিষ্ঠান ও দুই ব্যক্তির কথাও তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, যাদের কথা আগেই বলেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গণতন্ত্র সম্মেলনের আগে আগে এই তালিকা প্রকাশ করল ওএফএসি।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা শুনেছি। কিন্তু আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো আমাদের কিছু জানায়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানালে আমাদের সচিবের সঙ্গে বসে এ বিষয়ে আমরা মতামত জানাব।’