ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝরছে বৃষ্টি।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। উপকূলীয় জেলা টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢুকে বেশকিছু ঘরবাড়ি প্লাবিত ও বসতঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। কুতুবদিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ, আমন ধান ও শীতকালীন সবজির আবাদ।
সকাল থেকে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ঘরেই চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছেন অনেকে। তবে যারা কাঁচাবাজার করতে গেছেন, তাদের পড়তে হয়েছে দুর্ভোগে। বৃষ্টিতে ভিজেই দিনমজুরদের কাজ করতে হচ্ছে।
শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ স্থানে অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেইসঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বলছে, শুক্রবার সকাল ছয়টায় তিতলি ভারতের উড়িষ্যা ও তৎসংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশঃ দুর্বল হতে পারে।
গভীর নিম্ন চাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চরণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জয়নিউজ/আরসি