গত সপ্তাহের তুলনায় নগরের বাজারগুলোতে সবজির দাম বেড়েছে অনেকটা। ব্যবসায়ীরা বলছে, বৃষ্টির কারণে বেড়েছে সবজির দাম। কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে সব সবজি। তবে দুই-একদিনের মধ্যে বাজার স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
শুক্রবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর রেয়াজউদ্দিন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, শীতের সবজির মধ্যে শিম ১০ টাকা বেড়ে কেজিতে ১৪০ টাকা, ফুলকপি কেজিতে দশ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা, লাল শাকের আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, মূলা পাঁচ টাকা বেড়ে ৮০ টাকায় এবং বাঁধাকপি পাঁচ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ।
এ বিষয়ে সবজি বিক্রেতা মো. রফিক জয়নিউজকে জানান, বৃষ্টির কারণে শীতের সবজির দাম বেড়ে গেছে। অন্য সবজির দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর মধ্যে পেঁপে ৪০ টাকায়, আলু ৩০ টাকায়, চালকুমড়ো ৪০ টাকায়, লাউ ৪০ টাকায়, বরবরটি ৭০ টাকায়, কাকরোল ৬০ টাকায়, ঢেঁড়শ ৫০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকায়, মরিচ ৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, গাজর ৮০ টাকায়, শশা ৫০ টাকায়, করলা ৭০ টাকায়, কাঁচকলা ৩৫ টাকায়, বেগুন আকারভেদে ৪০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড থেকে টাটকা সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও দাম ক্রেতাদের নাগালের বাইরে থেকে যাচ্ছে। গলদা চিংড়ি আকারভেদে ৫ থেকে ৭শ’ টাকায়, মাঝারি চিংড়ি ৪ থেকে ৪৫০ টাকায়, দেশি কই ৭শ’ টাকায়, রুই ৩৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২শ’ টাকায়, রূপচাঁদা ৭৫০ টাকায়, কোরাল ৩শ’ টাকায়, কালিচাঁদা ৪শ’, লইট্টা ১৮০ ও রুই ৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে বয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৩৫ টাকায়, দেশি মুরগি ৩৯০ টাকায়, গরুর মাংস হাড়সহ ৪৮০ টাকায় এবংহাড় ছাড়া ৫৫০ থেকে ৬শ’ টাকায়, খাসির মাংস ৭১০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ৪০০ টাকায়, রসুন ৫৫ টাকায়, আদা ১০০ টাকায়, ভারতীয় পেঁয়াজ ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে । ডিম হালি ৪৫ ও ডজন ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জয়নিউজ/ হিমেল/ আরসি