সুগন্ধা নদীতে লঞ্চটিতে আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান তোফায়েল আহমেদ জানিয়েছেন, ইঞ্জিন রুমে কিছু সমস্যা পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে কয়েকটা কারণ আমরা পেয়েছি। সেটাকে আমরা লিংক আপ করে মূল সিদ্ধান্ত নেব।
তদন্তের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব তোফায়েল হাসান আরও জানান, অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। যেসব স্থানে লঞ্চটি থেমেছিল, সেখানেও আমরা যাব। জাহাজ চালনার সঙ্গে সংশ্নিষ্ট কর্মীদের খুঁজে বের করে তাদের সঙ্গে কথা বলব। লঞ্চের কাগজপত্রও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হবে। এ ছাড়া কী কারণে এ দুর্ঘটনা এবং কারও দায়িত্বে অবহেলা বা ব্যর্থতা আছে কি না, সবকিছু আমরা খতিয়ে দেখব।
এদিকে, লঞ্চ কর্তৃপক্ষের গাফিলতিতেই ঝালকাঠিতে আগুনে পুড়েছে এমভি অভিযান-১০। যাত্রীরা, চালক ও স্টাফদের বারবার বলার পরও কোনো তোয়াক্কা করেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরং স্বাভাবিকের চেয়েও জোরে চালানো হয়েছিল লঞ্চটি বলেও জানা গেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া আরও যাত্রীরা জানান, সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসের পর বৃহস্পতিবার রাতের লঞ্চ হওয়ায় যাত্রীর চাপ ছিল বেশি। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসার পর চাঁদপুর, বরিশালসহ অন্তত ৩ জায়গায় যাত্রী তোলা হয়েছে। এরপরেও লঞ্চ ঝালকাঠির কাছে পৌঁছে গিয়েছিল নির্ধারিত সময়ের দেড় ঘণ্টা আগেই। অস্বাভাবিক ছিল লঞ্চের গতিবেগ।
ঢাকা নদী বন্দরে বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চটি ঘাট থেকে ছাড়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিকট আওয়াজ করতে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লঞ্চের ছাদে থাকা সাইলেন্সার থেকে আগুনের ফুলকি উঠতেও দেখা গেছে। মাঝ নদীতে অন্তত ৪ বার ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায় অথবা বন্ধ করতে বাধ্য হন চালক।
ঘটনার পর থেকেই লঞ্চের মালিককে পাওয়া যাচ্ছে না। এই ঘটনায় লঞ্চ চালক ও স্টাফদের দুষছেন সে রাতের মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসারা। লঞ্চে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪১ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
কাজ শুরু করেছে তদন্ত কমিটি:
লঞ্চে আগুনের ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে ঝালকাঠি সদর থানায়। এ ঘটনায় গঠিত তিনটি কমিটি গতকাল-শনিবার থেকেই তদন্তকাজ শুরু করেছে। শনিবার কমিটির সদস্যরা ঝালকাঠিতে গিয়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটি পরিদর্শন করেন।
জয়নিউজ/পিডি