বিশু কুমার ধরকে হত্যা করে শিমুল তার বন্ধু রাজিবকে কল দেয়। শিমুল বলে, দুর্বৃত্তরা হামলা করেছে। ঘটনাস্থলে মারা গেছে বিশু। সে কোনরকম পালিয়ে এসেছে। রাজিব বিষয়টি আরো কয়েকজকে কল দিয়ে জানায়। হত্যা করে ঘটনার ‘দিক’ পরিবর্তন করতে এ ছলচাতুরির আশ্রয় নেয় শিমুল।
কিন্তু, বৃহষ্পতিবার রাত ৯টায় যখন পাহাড়তলীর বাইন্যপাড়া শিব মন্দির এলাকায় বিশুকে হত্যা করা হচ্ছিল, ঠিক সে সময় ওই স্থানে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক কিশোরী। ওই কিশোরীর নজরবন্দি হয়ে যায় খুনি শিমুল। পুলিশ কিশোরীর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিমুলকে বৃহষ্পতিবার রাতেই গ্রেফতার করে।
এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করে মহানগর পুলিশ। তারা বিস্তারিত তথ্য গণমাধ্যমকে জানাতে পাহাড়তলী থানায় শুক্রবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলেনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম জানান, পাহাড়তলী পূজা উদযাপন কমিটির অর্থ সম্পাদক ছিলেন বিশু কুমার ধর। এ পদ নিয়ে শিমুলের সাথে বিশুর দ্বন্দ্ব হয়। মূলত এ কারণেই শিমুল বিশুকে হত্যা করে।
পাহাড়তলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল হারুন জানান, বিশুকে খুনের পর শিমুল রাজিব নামে এক ব্যক্তিকে কল করে। শিমুল তাকে জানায়, বাইন্যপাড়া শিব মন্দির বাই লেইনের পাশে বিশু ও তার উপর হামলা হয়। শিমুল কোন রকম পালিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে বিশু মারা গেছে। কিন্তু ঘটনাস্থলে এক প্রত্যক্ষদর্শী দেখে ফেলে শিমুলই বিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। বাবু প্রথমে খুনের বিষয়টি অস্বীকার করে।
পরে প্রত্যক্ষদর্শী কিশোরীকে মুখোমুখি করলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি সে স্বীকার করে। যদি প্রত্যক্ষদর্শী না থাকতো তাহলে এ ঘটনাটি ভিন্ন দিকে মোড় নিতো বলেও জানান পুলিশ কর্মকর্তা হারুণ। তিনি আরো জানান, শিমুলের বাসা থেকে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরি এবং তার রক্তমাখা শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় পাহাড়তলী থানাধীন বাইন্যপাড়া শিব মন্দির বাই লেইনের পাশে রাস্তার উপর থেকে বিশু কুমার ধরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
জয়নিউজ/এফও