রামুতে সুকুমার ও ললিতকলা পীঠ ‘নন্দন’র আয়োজনে শুক্রবার (১২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয়েছে সঙ্গীতানুষ্ঠান কচি প্রাণের হাসি-গান।
‘জীবনকে সুন্দর করে গড়তে নন্দন’ স্লোগানে রামু খিজারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওসমান সরওয়ার আলম চৌধুরী মিলনায়তনে শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই বার্ষিক সংগীতায়োজন উদ্বোধন করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (অব.) সাধন কুমার দে। নন্দন অধ্যক্ষ ফারুক আহম্মেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া ও কন্ঠশিল্পী মানসী বড়ুয়া।
নন্দন কর্ম পরিষদ আহ্বায়ক মানসী বড়ুয়া বলেন, রামুতে নান্দনিক শুদ্ধতায় গড়ে উঠুক আগামী প্রজন্ম। সুন্দর ও বিশেষের প্রতি মানুষের আগ্রহ অসীম ও চিরন্তন। যা সুন্দর, তা-ই সত্য। এই সুন্দর ও সত্যের নিমিত্তেই চলে মানুষের সুকুমারবৃত্তি।
উদ্যোক্তা রেজাউল করিম রেজু বলেন, রামুতে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যে নন্দনের যাত্রা শুরু হয়েছে। রামুর সঙ্গীতপ্রিয় মানুষ নন্দনকে গ্রহণ করেছে। নন্দন কক্সবাজারের শুদ্ধ সংগীতের ধারা প্রবহমান রেখে সমৃদ্ধ করতে পারবে দেশের সংগীতধারাকে।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা ২০১৮ প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জনকারী মেহরিন রাহব্বাত ইপসিতা ও মেহজাবিন রুবাইয়াত ঈশিকাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
পরে ‘নন্দন’ শিক্ষার্থীদের সমবেত কন্ঠে শুরু হয় ‘কচি প্রাণের হাসি-গান’ শীর্ষক সংগীতায়োজন। বরেণ্য শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, সংগঠক, কবি, আবৃত্তিকার ও সুশীল সমাজের উপস্থিতিতে সংগীতের আসর মুখর হয়ে ওঠে।
জয়নিউজ/আরসি