কুমিল্লার মাতৃভাণ্ডারের রসমালাই ও খাদি কাপড়ের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। এবার রেলিস বেকারি অ্যান্ড কনফেকশনারি মিষ্টির জগতে কাঁচা মরিচের ঝাঁজে সবুজ রঙের রসগোল্লা তৈরি হচ্ছে। যারা কম মিষ্টির রসগোল্লা খেতে পছন্দ করেন, তারা এই মরিচ রসগোল্লার প্রধান ক্রেতা।
প্রতিষ্ঠানটি প্রায় দেড় মাস আগে ১৫ কেজি দিয়ে শুরু করলেও চাহিদা বেড়ে এখন ৩০০ কেজি ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ রসগোল্লার চেয়ে কাঁচা মরিচের রসগোল্লার দামও একটু বেশি। নগরীর বিভিন্ন স্থানে রেলিসের সাতটি শাখা রয়েছে। এদিকে কাঁচা মরিচের রসগোল্লার বিষয়টি গত কয়েক দিন ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
জানা যায়, রসগোল্লার ছানার সঙ্গে কাঁচা মরিচ মিশিয়ে চিনির শিরায় ডুবানো হয় এবং তৈরি করা হয় সবুজ রঙের রসগোল্লা। নতুন রকমের এ রসগোল্লা মুখে দিলে প্রথমে মিষ্টি, তারপর ধীরে ধীরে জিহ্বায় ঝাল স্বাদ পাওয়া যায়। নগরীর কান্দিরপাড় এলাকায় রেলিসের শাখায় গিয়ে কথা হয় ষাটোর্ধ্ব বয়সের নূরে আলম নামে এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রসগোল্লা খেতে বেশ পছন্দ করি। কাঁচা মরিচের রসগোল্লার কথা শুনে কিনতে এসেছি। বাজারে ভালো মানের সাধারণ রসগোল্লার দাম ২৬০ টাকা। নতুন স্বাদের কাঁচা মরিচের রসগোল্লার দাম একটু বেশি, ৩০০ টাকায় এক কেজি কিনেছি। একটি খেয়েছি। প্রথমে মিষ্টি, পরে আস্তে আস্তে ঝাল লেগেছে। তবে কতটুকু স্বাস্থ্যসম্মত তা জানি না। পরিবারের সদস্যদের কাছে ভালো লাগলে আরো নেব।’
মিষ্টি তৈরির কারিগর সজিব আহমেদের (২৭) সঙ্গে। তিনি বলেন, ক্রেতাদের ব্যতিক্রম কিছু খাওয়ানোর আগ্রহ থেকে কাঁচা মরিচের রসগোল্লা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঝাল স্বাদের নতুন ধরনের এ রসগোল্লা কুমিল্লায় এই প্রথম।
তিনি আরো বলেন, ‘কাঁচা মরিচের ঝালে ভিন্নতা আছে। তাই মিষ্টির ছানার সঙ্গে রসগোল্লার প্রতি কেজিতে ১০০ গ্রাম থেকে ১২০ গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা মরিচের রস ব্যবহূত হচ্ছে, তাই রসগোল্লা সবুজ রঙের দেখা যায়। এক কেজিতে সবুজ রঙের ঝাল রসগোল্লা পাওয়া যায় ১৪টি। প্রতি কেজির সঙ্গে সমপরিমাণ শিরা দেওয়া হয়। এ রসগোল্লার চাহিদা বাড়ছে, এতে বেশ ভালো লাগছে।
জয়নিউজ/পিডি