অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হচ্ছে আজ সোমবার। মাত্র ৩৩ কার্যদিবসে বহুল আলোচিত এই মামলার দীর্ঘ শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে গত ১২ জানুয়ারি রায় ঘোষণার এই তারিখ নির্ধারণ করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত।
এ রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে কক্সবাজার আদালত চত্বরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
সোমবার সকাল হতেই পুরো আদালত পাড়ায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আদালত পাড়ার পয়েন্টে পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে নিরাপত্তাকর্মী। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা বিভাগের লোকজন কয়েক স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করেছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘিরে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেদিকে পুলিশের সর্বোচ্চ নজর রয়েছে।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার মুইন্যা পাহাড়ে তথ্যচিত্র নির্মাণের শুটিং করেন তিনি। রাতে রিসোর্টে ফেরার পথে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।
কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পিপি ফরিদুল আলম জানান, হত্যাকাণ্ডের পরপরই আটক করা হয়েছিল তাঁর সহযোগী সিফাতকে। এরপর তিনি যে রিসোর্টে থাকতেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে পুলিশ তল্লাশি চালায় এবং শিপ্রা দেবনাথকে আটক করে। এসব ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় একটি এবং রামু থানায় দুটিসহ তিনটি মামলা করে। মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনা সারা দেশেই চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিন পর ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালতে হত্যা মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক নন্দ দুলাল রক্ষিতসহ পুলিশের ৯ সদস্যকে। আদালত মামলাটির তদন্তভার দেন কক্সবাজারের র্যাব-১৫কে। সেই সঙ্গে র্যাব-১৫কে পুলিশের করা তিনটি মামলার তদন্তের দায়িত্বও দেওয়া হয়।
জয়নিউজ/পিডি