সাতকানিয়ার ধর্মপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে আনোয়ার আলী (৫৩) নামে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৭ জন।
মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টায় উনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড চাঁদের পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার আলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খালু মিঞার ছেলে। তিনি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে কর্মরত ছিলেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন— মো. কামাল (৪২), আহামুদুর রহমান (৪৮) মো. হারুন (৪০), জান্নাত আরা বেগম (৪৫), গিয়াস উদ্দীন (৩৫ ), ফারজানা নাসরিন (৪৪)।
ধর্মপুর আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার শান্তিপূর্ণ মিছিলে নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপুর নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়। এতে আমার সমর্থক আনোয়ার আলীসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছিল। নৌকার সমর্থকরা হাফেজার বিল্ডিং থেকে আমার মিছিলের উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনোয়ারের ঘাড়ে এবং বুকে ইট পড়ে।
এ সময় আনোয়ার গুরুতর আহত হলেও নৌকার সমর্থকরা আহত আনোয়ারকে নিয়ে হাসপাতালে আসতে বাধা দেয়। এরপর পুলিশের সহায়তায় আহত অবস্থায় আনোয়ারকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’
বিষয়টি অস্বীকার করে নৌকা সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নাসির উদ্দিন টিপু বলেন, আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ইলিয়াস চৌধুরী এবং তার ভাই ইছা চৌধুরীর নেতৃত্বে বোরকা পড়ে আমাদের সমর্থকদের ওপর অস্ত্র নিয়ে হামলা করে। হামলার ঘটনায় ৩ থেকে ৪ জন সমর্থক আহত হয়।
সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. কাজী সোহান বলেন, আনোয়ার আলী নামে একজনকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাইনি। পুলিশ ঘটনার আসল বিষয় জানাবে।
সাতকানিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শিবলী নোমান বলেন, ধর্মপুরে দুই চেয়ারম্যান সমর্থকদের সংঘর্ষ হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষের পর আনোয়ার আলী নামে একজন মারা গেছে কিন্তু মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন যেহেতু নেই ডাক্তাররা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সে মারা গেছে। লাশটি ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।