বান্দরবানের রুমায় সেনাবাহিনী এবং সন্ত্রাসীদের মধ্যে গোলাগুলিতে একসেনা কর্মকর্তা ও ৩ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় অপর এক সেনা সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে। তাকে চট্টগ্রাম সিএমএইচে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১১টার সময় রুমার বথি পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার রাতে জোন (২৮ বীর) এর রাইক্ষিয়াংলেক আর্মি ক্যাম্পের সেনা টহল দলকে লক্ষ্য করে জেএসএস ( সন্তু) দলের সদস্যরা গুলি চালায়। এসময় সেনাসদস্যরাও পাল্টা গুলি চালালে এক সেনা কর্মকর্তা ও জেএসএস( সন্তু) এর তিনজন সদস্য মারা যায়। এক সেনাসদস্য আহত হয়।
নিহত সেনা কর্মকর্তার নাম মো. হাবিবুর রহমান। তিনি রুমা জোন (২৮) বীর রাইক্ষিয়াংলেক আর্মি ক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার। আহত সেনা সদস্যর নাম মোঃ ফিরোজ। তিনি একই ক্যাম্পের সেনা সদস্য।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের একটি দল রুমা উপজেলার বথিপাড়ায় চাঁদাবাজি করতে আসবে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে রাইং খিয়াং লেক আর্মি ক্যাম্প থেকে সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি টহল দল রাত সাড়ে ১০টার দিকে বথিপাড়ায় যায়। এসময় ওই এলাকার একটি জুম ঘর থেকে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে হঠাৎ গুলি ছোড়েন।
সেনা সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। এতে তিন সশস্ত্র সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
এসময় বাকি সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলি মাথায় লাগলে টহল কমান্ডার সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলেই মৃত্যুবরণ করেন। এসময় ফিরোজ নামে এক সেনা সদস্যের ডান পায়ে গুলি লাগে। আহত সেনা সদস্যকে সকালে রুমা থেকে চট্টগ্রাম সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এসময় ঘটনাস্থল থেকে সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত একটি এসএমজি, ২৭৫ রাউন্ড তাজা গুলি, তিনটি অ্যামোনিশন ম্যাগজিন, তিনটি গাদা বন্দুক, গাদা বন্দুকের পাঁচ রাউন্ড গুলি, চার জোড়া ইউনিফর্ম এবং চাঁদাবাজির নগদ ৫২৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে সেনা টহল দল ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি চালাচ্ছে এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
জয়নিউজ/পিডি