দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ট্রাক ড্রাইভারের ছদ্মবেশে পলাতক ছিলেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার ব্যবসায়ী জানে আলম হত্যার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন। কিন্তু্ এতেও শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে ধরা পড়ল র্যাবের জালে।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরের নিমতলা বিশ্বরোড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব-৭ এর সদস্যরা।
র্যাব জানায়, হত্যার পর জসিম নিজের পরিচয় গোপন করে নগরের আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ট্রাক ড্রাইভার সেজে নগরের বিভিন্ন এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস শুরু করেন। সর্বশেষ বন্দরের নিমতলা এলাকায় বাসা ভাড়া নেন। মূলত সে ট্রাক ড্রাইভারের লাইসেন্স ও অন্যান্য কাগজপত্র তৈরিতে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করতো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের সদস্যরা রাতে নিমতলার বাসায় অভিযান চালিয়ে জসিম উদ্দিনকে আটক করে। আটক জসিম লোহাগাড়া আমিরাবাত এলাকার মৃত বেলায়েত আলীর ছেলে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এম এ ইউসুফ জানান, ড্রাইভারের ছদ্মবেশে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জসিম উদ্দিন ২০ বছর আত্মগোপনে ছিল। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের মুল কারণ হিসেবে সে জানায়, ব্যবসায়ী জানে আলম তার ছোট ভাইয়ের হত্যাকান্ডে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী ছিলেন। তাই ,ব্যবসায়ী জানে আলকে হত্যা করলে ঐ পরিবারের মামলা-মোকদ্দমা চালাবার মতো কেউ থাকবে না এবং আর কোনো সাক্ষীও নেই। সেইসঙ্গে তাঁর সকল সম্পত্তি সহজে গ্রাস করতে পারবে আসামিরা। এ কারণে আসামিরা জানে আলমকে নৃশংসভাবে হত্যা করে।
প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে আদালতে স্বাক্ষী দিতে আসার সময় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ব্যবসায়ী জানে আলমকে তার এক বছরের শিশু বাচ্চার সামনে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ মামলায় ২০০৭ সালে আদালত জসিম উদ্দিনসহ ১২ জনকে ফাঁসি এবং ৮ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে থাকেন। পরে আসামীরা সুপ্রীম কোর্টে আপীল করলে সুপ্রীম কোর্ট জসিম উদ্দিনসহ ১০ জনের মৃত্যুদন্ড বহাল রাখেন।
জয়নিউজ/পিডি