দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় তার আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় করোনা আক্রান্ত নতুন রোগী, রোগী শনাক্তের হার ও মৃত্যু সবই কমেছে।
বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বাস্থ্য অধিদফতর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে শনাক্ত হয়েছেন আট হাজার ১৬ জন, শনাক্তের হার পরীক্ষার বিপরীতে ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। একইসময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩ জন।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় আট হাজার ৩৫৪ জন নতুন শনাক্ত, ৪৩ জনের মৃত্যু এবং শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৩ শতাংশ বলে জানিয়েছিল।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনকে নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ২৮ হাজার ৭০৩ জন, আর শনাক্ত হওয়া ৮ হাজার ১৬ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হওয়া ১০ হাজার ৭২৫ জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৮২জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৪২ হাজার ৭৮৪টি, আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬৪টি।
দেশে এ পর্যন্ত করোনার মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে এক কোটি ২৮ লাখ ৫৫ হাজার ১৪২টি। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৮৬ লাখ ৭৫ হাজার ৫৯৯টি, আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৪১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৪৩টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার ৮৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ, আর শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুহার এক দশমিক ৫২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন আর নারী ৯ জন। তাদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মোট পুরুষ মারা গেছেন ১৮ হাজার ৩২৮ জন, আর মোট নারী মারা গেছেন ১০ হাজার ৩৭৫ জন।
২৪ ঘণ্টায় মৃত ৩৩ জনের মধ্যে বয়স বিবেচনায় ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ১০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৪ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ও ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন ২ জন করে, আর ২১ থেকে ৩০ ও ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে মারা গেছেন এক জন করে।
মারা যাওয়া ৩৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছে সর্বোচ্চ ১৫ জন। এরপর চট্টগ্রাম বিভাগে মারা গেছেন ৬ জন। বাকিদের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে ৪ জন, খুলনা, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে ২ জন করে আর বরিশাল ও রংপুর বিভাগে মারা গেছেন একজন করে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, যে ৩৩ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন ২৭ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৫ জন মারা গেছেন। আর একজনের মৃত্যু হয়েছে বাড়িতে।