ভারি বর্ষণে মহেশখালীতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় তিতলি’র প্রভাবে গত ৩ দিন ধরে ভারি ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে মহেশখালীর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রবল বর্ষণ, পাহাড়ি ঢল, সমুদ্র ও জোয়ারের পানিতে মহেশখালীর বিভিন্ন স্থানে চলতি আমন মওসুমের সদ্য রোপণকৃত আমন ক্ষেত, চিংড়ি ঘের, পানের বরজ, কাঁচা ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

- Advertisement -

উপজেলার কুতুবজোমের ঘটিভাঙ্গা, ছোট মহেশখালীর উম্বুনিয়া পাড়া, মাতারবাড়ির হোয়ানক, ধলঘাটা ও কালামারছাড়ার চিংড়িঘেরসহ নিম্নাঞ্চলসমূহ প্লাবিত হয়ে আমন ধানের ক্ষেতের অনেকাংশ তলিয়ে গেছে। এসব এলাকায় জোয়ারের পানি ও পাহাড়ি ঢলের পানিতে ভেসে গেছে অসংখ্য চিংড়ি ঘের, নষ্ট হয়ে গেছে সবজি ক্ষেত ও পানের বরজ। এতে কয়েকশ’ কাঁচা ঘর-বাড়ি ও গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মাতারবাড়ী ইউপির মগডেইল গ্রামের বাসিন্দা হামেদ হোসাইন মেম্বার এবং ধলঘাটার স্থানীয় লোকজন।

- Advertisement -google news follower

উপজেলার কৃষকরা বলেন, যদি দু’একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে না আসে এবং পানি নেমে না যায় তাহলে কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে টানা ভারি বর্ষণে উপজেলার সড়কগুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। মাতারবাড়ি-চালিয়াতলি সড়ক, হোয়ানক হরিয়ার ছড়া যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।

- Advertisement -islamibank

কালারমারছড়া গণমাধ্যম কর্মী মোহাম্মদ নেছার জানান, মহেশখালীতে কোটি টাকার উপরে পান বরজ নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শফিউল আলম সাকিব বলেন, তিতলির প্রভাবে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে ইউপি চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জয়নিউজ/জুলফিকার

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM