করোনার বিরুদ্ধে ফাইজার ও মডার্নার বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা চার মাস পর্যন্ত থাকে। ইউএস সেন্টার্স অব ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) নতুন এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
করোনার টিকার দুই ডোজ নেওয়ার পর এর কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এ বিষয়টি ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত গবেষণায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে বুস্টার ডোজের কার্যকারিতা কতদিন থাকে সে বিষয়ে এখনও পর্যাপ্ত গবেষণা হয়নি।
২০২১ সালের অগাস্ট থেকে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত নতুন গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহ করেছে সিডিসি। এতে যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়া দুই লাখ ৪১ হাজার ২০৪ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৩ হাজার ৪০৮ জনের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় টিকা দেওয়া ও টিকাবিহীন রোগীদের করোনায় সংক্রমণের তথ্য বিশ্লেষণ করে টিকার কার্যকারিতা অনুমান করা হয়েছে। এছাড়া পরিসংখ্যানগত পদ্ধতি ব্যবহার করে ক্যালেন্ডার সপ্তাহ, ভৌগলিক এলাকা, বয়সের সামঞ্জস্য, স্থানীয় সংক্রমণের মাত্রা এবং রোগীর সহঅবস্থানের মতো বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেছেন গবেষকরা।
গবেষণায় দেখা গেছে, করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণকালে বুস্টার ডোজ নেওয়ার দুই মাস পর যারা কোভিড সম্পর্কিত জরুরী বিভাগ বা জরুরী পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিতে এসেছিলেন তাদের দেহে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৮৭ শতাংশ। কিন্তু চতুর্থ মাসে এই কার্যকারিতা ৬৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
বুস্টার নেওয়ার প্রথম দুই মাসের মধ্যে করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার বিরুদ্ধে টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯১ শতাংশ। কিন্তু চতুর্থ মাসে এটি ৭৮ শতাংশে নেমে আসে।
গবেষণা প্রতিবেদনের উপসংহারে গবেষকরা লিখেছেন, ‘এমআরএনএ টিকার মাধ্যমে পাওয়া সুরক্ষা তৃতীয় ডোজ পাওয়ার কয়েক মাস পরে কমতে থাকার বিষয়টি সুরক্ষা বজায় রাখতে বা বাড়াতে অতিরিক্ত ডোজ নেওয়ার গুরুত্বকে জোরদার করে।’