করোনার বিধিনিষিধের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনের মোকাবিলায় জরুরি অবস্থা জারি করেছে কানাডা সরকার। প্রায় ৫০ বছর পর কানাডায় জারি হলো এ অবস্থা।
বেশ কিছুদিন ধরেই ট্রাকচালকদের ধর্মঘটে পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ জারি করা হলো। কানাডাজুড়ে ৩০ দিন এ জরুরি অবস্থা চলবে।
কানাডায় করোনার ভ্যাকসিন নেওয়া বাধ্যতামূলক করেছিল জাস্টিন ট্রুডো সরকার। তারপরই এই নির্দেশ প্রত্যাহার ও কোভিড বিধি শিথিলের দাবিতে শুরু হয় আন্দোলন।
বিশেষ করে ট্রাকচালকদের করোনাভাইরাসের টিকা বাধ্যতামূলক করতে সরকারের উদ্যোগের বিরোধিতা করে ‘ফ্রিডম কনভয়’ নামের বিক্ষোভ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী ওটোয়াসহ কানাডার অনেক জায়গার স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে ট্রাকচালকদের এ বিক্ষোভ চলছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশটিতে সৃষ্টি হয়েছে অচলাবস্থা। পরিস্থিতি সরকারের প্রায় হাতের বাইরে চলে গেছে। সে কারণে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হয়েছেন প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্ত, বিমানবন্দর, প্রধান সড়ক ইত্যাদি যে কোনো সেবায় যারা বাধা সৃষ্টি করবে, তাদের জন্য এ আদেশ প্রয়োজ্য। এমনকি প্রয়োজনে ট্রাক চালকদের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে।
গত ২৮ জানুয়ারি থেকে কানাডার রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু করেন ট্রাক চালকেরা। পাশাপাশি লকডাউনসহ কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি বিধি নিয়ে আপত্তি রয়েছে বিক্ষোভকারীদের।
জয়নিউজ/পিডি