‘আমি আওয়ামী লীগ হয়ে যাইনি। যারা আমাকে আওয়ামী লীগ বলছেন তারা মিথ্যাবাদী। আমার কোন রাজনৈতিক পরিচয় নেই। প্রচলিত কোন রাজনীতির সাথেও আমি জড়িত নই।’
শনিবার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৫টায় হাটহাজারী পার্বতী মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আল আমিন সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমাদ শফী এসব কথা বলেন।
আল্লামা আহমদ শফী আরো বলেন, কওমী মাদ্রাসা সনদের স্বীকৃতি আর হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির আন্দোলন এক নয়। হেফাজত কোন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। এটি মুসলমানদের ঈমান-আক্কিদা রক্ষার সংগ্রামের একটি বৃহত্তম ধর্মীয় সংগঠন। কোন রাজনৈতিক লক্ষ্য হেফাজতের নেই। হেফাজত কোন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। হেফাজত নির্বাচনে কাউকে মনোনয়ন বা সমর্থন দেয়নি এবং দেবেও না।
হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক ও আল আমিন সংস্থার উপদেষ্টা মুফতী মাওলানা জসীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সম্পাদক মাওলানা ইব্রাহিম খলীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিয়ষক মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, আল্লামা শফী কোন রাজনীতি করেন না। তিনি আওয়ামী লীগ করলে সর্বপ্রথম আমি জানতাম। কারণ আমি স্থানীয় সাংসদ। আমি ওনার কাছে প্রায় যাই। তিনি একজন সাধারণ মনের মানুষ। সারাজীবন তিনি ধর্মের জন্য কাজ করে গেছেন। আমার পিতা-মাতাও হুজুরের ভক্ত।
মন্ত্রী আরো বলেন, আজ যে স্বীকৃতি নিয়ে কথা চলছে আমি জানি এ স্বীকৃতি এত সহজে আসেনি। স্বীকৃতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক কোন উদ্দেশ্য নেই। তিনি নিজ দায়িত্ব থেকে এই স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি একজন ধার্মিক ও দ্বীনপ্রিয় মানুষ। তার দিন শুরু হয় ধর্ম-কর্মের মাধ্যমে। এছাড়া তিনি আরো বলেন, আমি অনেকবার মাদ্রাসা গিয়েছি। কোথাও কোন আপত্তিকর কিছু দেখিনি। আমি বলছি কওমী মাদ্রাসায় কোন জঙ্গী নেই। এসব অপপ্রচার থেকে বিরত থাকুন।
অনুষ্ঠানে হাটহাজারী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মির কফিল উদ্দিন, মাওলানা আবু তাহের নদভী, জসীমুদ্দীন নদভী, মাওলানা কুতুবুদ্দিন নানুপুরি, মাওলানা লোকমান, মাওলানা তাজুল ইসলাম, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা মীর ইদ্রীস, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শামীম, মুফতি আব্দুল আজীজ, মাওলানা শফিউল্লাহ, আহসান উল্লাহ মাস্টার, মাওলানা সরওয়ার কামালসহ জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং আল আমিন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠান শেষে আল আমিন সংস্থার পক্ষ থেকে আল্লামা আহমদ শফী ও ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে সম্মাননাসূচক ক্রেস্ট প্রদান করেন। এছাড়া আল আমিন সংস্থার পাশাপাশি প্রায় ত্রিশের অধিক সংগঠন হেফাজত আমীরকে ক্রেস্ট প্রদান করেন।
জয়নিউজ/জুলফিকার