প্রতিবারের মত এবারও লাখো মোমবাতি জ্বেলে ভাষা শহীদদের স্মরণ করলো নড়াইলবাসী। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের কুরিরডোব মাঠে লাখো মোমবাতি জ্বলে উঠে একসঙ্গে।
একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের আয়োজনে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, জেলা পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায়, একুশ আলো উদ্যাপন পর্ষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলয় কুন্ডু ও সায়েদ আলী শান্ত, পর্ষদের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শরফুল আলম লিটু, পর্ষদের কোষাধ্যক্ষ ও নড়াইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শামীমূল ইসলাম টুলু প্রমুখ।
সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে জ্বলে ওঠে লাখো মোমবাতি। কুরিরডোব মাঠে এ সময় ‘আমার ভাইয়ের রক্ত রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গানের মধ্য দিয়ে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ঘণ্টাব্যাপী গণসংগীত শুরু হয়। এবার মাঠে শহীদ মিনার, বাংলা বর্ণমালা ও বিভিন্ন ধরনের আলপনা তুলে ধরা হয়। সন্ধ্যার পূর্বে মোমবাতি প্রজ্বলনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে এক হাজার হাজার শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করেন।
১৯৯৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুলের ৬ একরের বিশাল কুরিরডোব মাঠে সন্ধ্যায় ভাষা শহীদদের স্মরণে লাখো মোমবাতি জ্বালিয়ে ভাষাশহীদদের স্মরণে ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি শুরু হয়। এ আয়োজন সফল করতে ১ মাস আগে থেকে সাংস্কৃতিক কর্মী, স্বেচ্ছাসেবক ও শ্রমিক কাজ শুরু করেন। তিন শতাধিক পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবক মাঠের চারপাশে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করেন।
একুশের আলো উদ্যাপন পর্ষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মলয় কুন্ডু বলেন, ‘এবার সম্পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাঠে কোনো দর্শক শ্রোতা না রেখে মোমবাতি প্রজ্বলন করা হয়। অনুষ্ঠানটি সফল করতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করে।’