যুদ্ধ বন্ধে দ্বিতীয় দফায় বসতে যাচ্ছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা। এ বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
এদিন রুশ সেনারা সবশেষ ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় খারসন শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন। এখন কিয়েভ দখলে রুশ সেনাবহর এগিয়ে যাচ্ছে। কিয়েভের প্রায় ১৫ মাইল উত্তর-পশ্চিমে ওই বহরটি অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
গত সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলারুশ-ইউক্রেন সীমান্তের গোমেলে দুই পক্ষের প্রথম বৈঠক হয়। প্রথম দফার আলোচনা কোনো সমঝোতা বা সিদ্ধান্তে আসেনি দুপক্ষ। দ্বিতীয় দফার আলোচনায় কোনো ফল আসে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
আগের বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনায় মতৈক্য হওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে পেরেছে দুই পক্ষ।
আজকের বৈঠকের আগের সেই বিষয়গুলো নিয়ে শলাপরামর্শ করতে আবারও একত্র হবেন তারা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মিখাইলো পোদোলিয়াক বলেন, বৈঠকের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ইউক্রেনে অস্ত্রবিরতি নিয়ে আলোচনা করা। সুনির্দিষ্ট সমাধানে পৌঁছাতে কয়েকটি অগ্রাধিকারের বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই পক্ষ।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সহযোগী ভ্লাদিমির মেদিনস্কিও বলেন, যেসব বিষয়ের ওপর ভর করে মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, সেসব বিষয় চিহ্নিত করেছে দুই দেশের প্রতিনিধিদল।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রুশ ও ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের মধ্যে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে আলোচনা হয়েছে। রাশিয়া ও ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী দেশ বেলারুশেও এ নিয়ে আলোচনা হয়।
জয়নিউজ/পিডি