রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে প্রাণপণে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। এই যুদ্ধে এরই মধ্যে ১০ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় অনেকেই আটকে পড়েছেন। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজতে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় ‘শান্তি আলোচনায়’ বসে ইউক্রেন ও রুশ প্রতিনিধিদল।
ওই আলোচনায় কিয়েভ আশানুরূপ ফল পায়নি। যুদ্ধবিরতির বিষয়েও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।
তবে ইউক্রেনে যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা থেকে বেসামরিক লোকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য বা তাদের কাছে সহায়তা পাঠাতে ‘মানবিক করিডর’ দিতে সম্মত হয়েছে রাশিয়ায়। দুই পক্ষের মধ্যে এ বিষয়ে একটি সমঝোতা হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
মানবিক করিডরের বিষয়ে সমঝোতা হওয়ার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় আটকে থাকা বেসামরিক লোকদের দ্রুত সরিয়ে নিতে পারবে কিয়েভ। একই সঙ্গে তাদের কাছে খাদ্য-চিকিৎসা সামগ্রী সরবরাহ করতে পারবে।
ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক জানান, দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষ হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত ইউক্রেনের জন্য প্রয়োজনীয় ফলাফল এখনো আসেনি। শুধু মানবিক করিডর খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিনিধিদলের প্রধান ও সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী ভ্লাদিমির মেদিনস্কি বলেন, সামরিক সংঘর্ষের অঞ্চলে থাকা বেসামরিক নাগরিকদের বাঁচানোর বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে পড়লে বেসামরিক লোকরা যেন মানবিক করিডর ব্যবহার করেন, সে বিষয়ে রাশিয়া আহ্বান জানিয়েছে।
এর আগে ২৮ ফেব্রুয়ারি বেলারুশের গোমেল এলাকায় রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পঞ্চম দিনে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে শান্তি আলোচনায় বসে দুই দেশের প্রতিনিধিদল। ইউক্রেন-বেলারুশ সীমান্তে ওই বৈঠক চলে পাঁচ ঘণ্টাব্যাপী হয়। কিন্তু প্রথম দফার ওই বৈঠকে কোনো বোঝাপড়া হয়নি।
জয়নিউজ/পিডি