বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রকাশিত তথ্যানুযায়ী, ওমিক্রনের মোট তিনটি সাবস্ট্রেন রয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বর্তমানে বিশ্বজুড়ে বেশির ভাগ ওমিক্রন আক্রান্তের শরীরে রয়েছে বিএ.১। তবে এবার সমান তালে পাল্লা দিতে মাঠে নেমেছে বিএ.২ এবং বিএ.৩, যাকে বলা হচ্ছে ‘স্টেলথ ওমিক্রন’।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২২৭টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোভিড তার তাণ্ডব অব্যাহত রেখেছে। আর এ তাণ্ডবকেই আরও শক্তিশালী করে দিতে পারে ওমিক্রনের নতুন ভ্যারিয়েন্ট স্টেলথ ওমিক্রন।
বলা হয়ে থাকে, করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া হলে গুরুতর কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়। তার মানে এই নয় যে টিকা নিলেই কেউ আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না। বরং টিকার পূর্ণ ডোজ নেওয়ার পরও মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে করোনার ওমিক্রন ধরনের সম্ভাব্য কয়েকটি লক্ষণ চিহ্নিত করা হয়েছে। শুধু তা–ই নয়, ওমিক্রনের প্রাথমিক দুটি লক্ষণও চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে। লাইভ মিন্টের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
টিকা গ্রহণকারীদের শরীরে ওমিক্রনের উপসর্গ কী
সংক্রামক রোগ ও মহামারিবিষয়ক সাময়িকী ‘ইউরো সারভেইলেন্স’–এ প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, যারা টিকা নিয়েছেন, তারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে ৮টি লক্ষণ দেখা যেতে পারে। এসব লক্ষণ হলো কাশি, নাক দিয়ে পানি পড়া, ক্লান্তি, গলাব্যথা, মাথাব্যথা, পেশিব্যথা, জ্বর ও হাঁচি।
গবেষণা প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, টিকাগ্রহীতাদের মধ্যে কাশি, সর্দি ও ক্লান্তি—এ তিনটি উপসর্গ বেশি দেখা যায়। হাঁচি ও জ্বর উপসর্গ দুটি একদমই কম দেখা যায়। এর আগে বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, ওমিক্রন মৃদু কোনো ভাইরাস নয়। সম্ভবত মানুষ টিকা নেওয়ায় এবং পূর্ববর্তী সংক্রমণ থেকে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা অর্জন করায় এর উপসর্গ মৃদু হচ্ছে।
ওমিক্রন সংক্রমণের প্রাথমিক লক্ষণ কী কী
কেউ যদি ক্লান্তি এবং মাথা ঘোরা বা অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা বোধ করেন, তবে তার করোনা পরীক্ষা করানো উচিত। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলেন, এ দুই লক্ষণ দেখা গেলে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সাধারণ ক্লান্তি ও অবসাদ একপর্যায়ে শরীর ব্যথা, পেশির ব্যথা ও দুর্বলতা, মাথাব্যথা এমনকি চোখে ঝাপসা দেখা ও ক্ষুধামান্দ্যে রূপ নিতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত একটি জরিপ চালিয়েছে ওয়েব এমডি। জরিপে অংশগ্রহণকারীদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তারা কোভিড আক্রান্ত অবস্থায় কতটা অবসাদে ভুগেছেন। এতে দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ নারী বলেছেন, কোভিডের কারণে অবসাদে ভুগেছেন তারা। তবে তুলনামূলকভাবে কমসংখ্যক পুরুষ অবসাদে ভুগেছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী পুরুষদের এক-তৃতীয়াংশ এমন অনুভূতির কথা জানিয়েছেন।
জয়নিউজ/পিডি