স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভরসায় চলেন, জনগণের শক্তিকে নিজের শক্তি মনে করেন। কাজেই জনগণের শক্তিতেই তিনি রাজনীতি করেন। জনগণের আস্থায় রাজনীতি করেন। নির্বাচন এলে জনগণের ভোট ছাড়া অন্যভাবে ক্ষমতায় আসা যায় কি-না, এধরনের কৌশল অনেকেই করে। যারা অপচেষ্টা করবেন, তারা জনগণ দ্বারা ধিক্কৃত হবেন এবং জনগণ থেকে দূরে সরে যাবেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইন্সে নবনির্মিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে বামজোট হরতাল ডেকেছে। এটা শুধু বাংলাদেশে বাড়েনি। সারাবিশ্বেই বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পরিবহন ব্যয় তিনগুণ হয়ে গেছে। আমাদের দেশ তেল আমদানি করে, অনেক কিছুই আমদানি নির্ভর। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
বাজারে দাম সহনীয় রাখতে প্রধানমন্ত্রী ভ্যাট ও ট্যাক্স কমানোর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পেঁয়াজ ও তেলের দাম এখন নিম্নমুখী। আমাদের প্রচেষ্টার কোনও কমতি নেই। আমাদের আবেদন থাকবে, যারা হরতাল ডেকেছে তারা যেন ধ্বংসাত্মক কোনও কাজ না করে এবং জনজীবনে দুর্ভোগ সৃষ্টি না করে।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ‘পুলিশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, চট্টগ্রাম’ এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার সালেহ্ মোহাম্মদ তানভীর।
এসময় অনুষ্ঠানে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মো. শামসুল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) সানা শামিনুর রহমান, উপ পুলিশ কমিশনার (সদর) মো. আমির জাফর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হকসহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ছয় হাজার বর্গফুট আয়তনের এই জাদুঘরে সংগ্রহ করা হয়েছে ১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল মাস্টারদার নেতৃত্বে গঠিত ‘ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি’র সদস্যদের ছবি, ব্যবহৃত অস্ত্র, পোষাক ও বিভিন্ন জিনিসপত্র। জাদুঘরের একটি অংশজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু কর্নার। সেখানে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনের চট্টগ্রামের অংশটির পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে সম্পর্কিত বিভিন্ন স্মারক-ডকুমেন্ট স্থান পেয়েছে।
এছাড়াও ১৯৭১ সালের মার্চে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে চট্টগ্রামের এসপি এম শামসুল হক, কোতোয়ালী থানার ওসি আব্দুল খালেক, দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের আরআই আকরাম হোসেন সহ ৮১ জন পুলিশ সদস্যের শাহাদাৎ বরণ ও অন্যান্য ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবলীকে দৃষ্টিলব্দ অবয়ব প্রদানের লক্ষে মৌলিক ব্রিটিশ স্থাপত্য শৈলীতে প্রতিষ্ঠিত লাল ভবনদ্বয়ের অখন্ডতা বজায় রেখে এ জাদুঘরটি নির্মাণ করা হয়েছে।
জয়নিউজ/পিডি