বিশ্বকাপে যাওয়ার সমীকরণটা কঠিন ছিল ইতালির কাছে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলের প্লে–অফ সেমিফাইনালে উত্তর মেসিডোনিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে পর্তুগাল অথবা তুরস্ককে হারাতে হবে। তবে সেই যাত্রার প্রথম বাঁধাতেই আটকা পড়ল আজ্জুরিরা। উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছেই ০-১ গোলে হেরে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে খেলা হচ্ছে না দোন্নারুম্মা-ইম্মোবিলেদের।
পর্তুগালের তুলনায় ইতালির প্রথম মিশনটা অনেক সহজই ছিল। কারণ এই মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে আগে কখনও হারেনি ইতালি। এই ম্যাচের আগে তিন বারের দেখায় এক জয় আর দুই ড্র করেছিল চার বারের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নরা।
পুরো ম্যাচ জুড়ে খেলল ইতালি। একের পর এক আক্রমণ করে গেল, তবে গোলের দেখা পাচ্ছিলনা। মেসিডোনিয়ার গোল পোস্ট লক্ষ্য করে ৩২ টা শট করেছিল ইতালির খেলোয়াড়রা। তবে অন টার্গেট শট ছিল মাত্র পাঁচটি। আর ইতালির গোল পোস্ট লক্ষ্য করে মেসিডোনিয়া শট করেছিল মাত্র ৪ টি। আর তাতেই একটি গোল আদায় করে নেয় এর আগে কখনও বিশ্বকাপে না খেলা দেশটি।
যখন ভাবা হচ্ছিল ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে এগোচ্ছে তখনই ঘটলো এক অঘটন। ম্যাচ শেষের আর মাত্র তিন মিনিট বাকি। তখনই সবাইকে চমকে দিলেন আলেকসান্ডার ট্রাজকোভস্কি। তার গোল দলকে শুধু প্লে–অফের ফাইনালেই নিয়ে গেল না, সাথে বাদ করে দিল ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ীদেরও। তাই ম্যাচ শেষে তাদের উল্লাশটা একটু বেশিই দেখা গেল। তবে এখনও বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠতে হলে আরেকটি কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে ইউরোপের ছোট্ট দেশটির। কারণ ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ রোনালদোর পর্তুগাল।
ইউরোপ অঞ্চলের প্লে–অফ সেমিফাইনালে পর্তুগালের ম্যাচটিই বরং সবার নজরে ছিল। কারণ তুরস্ক ও পর্তুগালের শেষ দেখায় ৩-১ গোলে জিতেছিল তুরস্ক। কিন্তু সেই স্কোর লাইনেই তুরস্ককে হারিয়ে প্লে-অফের ফাইনাল নিশ্চিত করল ২০১৬ ইউরো জয়ীরা। পর্তুগালের হয়ে গোল পেয়েছেন জোতা, ওটাভিও এবং নুনেজ। এখন দেখার বিষয় রোনালদোদের শেষ বাঁধা মেসিডোনিয়া কি করে তাদের বিপক্ষে।
জয়নিউজ/পিডি