প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মনসুর হাদি। একই সঙ্গে নিজের বিতর্কিত ডেপুটিকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট হাদি। এরপরই তিনশো কোটি ডলার আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, সাত বছর ধরে চলা ইয়েমেনের গৃহযুদ্ধ অবসানে জাতিসংঘের নেতৃত্বাধীন আলোচনার পথে বাধা দূর হতে যাচ্ছে। ডেপুটিকে নিয়ে বিতর্ক চলায় তাকে বরখাস্ত করেছেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি। সেইসঙ্গে বৃহস্পতিবার তিনি নিজের ক্ষমতা প্রেসিডেন্সিয়াল কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
প্রেসিডেন্ট হাদির এ পদক্ষেপে সমর্থন রয়েছে সৌদি আরবের। হাদির ঘোষণার পর সৌদি সমর্থিত ইয়েমেনি সরকারকে তিনশো কোটি ডলার আর্থিক সহযোগিতার ঘোষণা দিয়েছে রিয়াদ।
মনসুর হাদির ক্ষমতা হস্তান্তর করা কাউন্সিলে ৮ সদস্য আছেন। যার নেতৃত্ব দেবেন রাশাদ আল-আলিমি। তার প্রতি সমর্থন রয়েছে সৌদি আরবের।
২০১৬ সালের পর প্রথমবারের মতো ইয়েমেন যুদ্ধে জড়িত পক্ষগুলোর সম্মতিতে গত শনিবার থেকে দুই মাসের যুদ্ধ বিরতি শুরু হয়েছে। এর পাঁচদিন পর হাদি ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিলেন।
এক টেলিভিশন ভাষণে মনসুর হাদি বলেন, ‘আমি অপরিবর্তনীয়ভাবে সংবিধান, উপসাগরীয় উদ্যোগ এবং তাদের নির্বাহী ব্যবস্থার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমার পূর্ণ ক্ষমতা প্রেসিডেন্সিয়াল লিডারশিপ কাউন্সিলের কাছে হস্তান্তর করছি।’
ইয়েমেনের লড়াইয়ের শুরুটা হয়েছিল আরব বসন্ত দিয়ে। ২০১১ সালে দেশটির দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট আলি আবদুল্লাহ সালেহ তার ডেপুটি মনসুর হাদির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন।
হুতি বিদ্রোহী আর নিরাপত্তা বাহিনীগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট সালেহের অনুগত ছিল। তারা গোটা দেশের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের পেছনে ইরানের সমর্থন আছে বলে ধারণা করা হয়। হাদি তখন দেশের বাইরে পালিয়ে যান। হাদিকে ইয়েমেনে পুনরায় ক্ষমতায় বসাতে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে।
জয়নিউজ/পিডি