জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে রয়েছে চা, কফির নাম। কিন্তু গরমে কোনটিকে বেছে নিলে বেশি আরাম ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন, তাই নিয়ে আজকের আয়োজন।
যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বা আড্ডার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চা, কফির নাম। দ্রুত এনার্জি পেতে অনেকেই ব্ল্যাক কফি পছন্দ করেন; আবার অনেকের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চায়ের নাম।
শীতে গরম চা ও কফির চাহিদা বেশি থাকলেও গরমের দিনগুলোতে এই চাহিদার অনেকটাই ভাটা পড়ে। তবে পুষ্টিবিদরা মনে করেন, গরমে চা ও কফির বিপক্ষে যারা তাদের সবারই এই পানীয় গ্রহণ করা উচিত। কারণ চা ও কফি পানে রয়েছে সুবিধা।
শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘটানোর পাশাপাশি ক্যাফিনের দৈনিক চাহিদা পূরণ করে কফি। গরম কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি থাকে। কিন্তু ঠান্ডা কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ থাকে কম। ক্যাফেইন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক হওয়ায় অনেকেই গরমে ঠান্ডা কফি বেছে নেন।
তবে পরিবেশের গরম হাওয়ায় হঠাৎ ঠান্ডা কফি গ্রহণ শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আর গরম কফিতে ক্যাফেইনের পরিমাণ বেশি হলেও তা স্ট্রেস রিলিভার হিসেবে কাজ ভালো করে এবং মন ভালো করে দেয়। গ্রীষ্মে ওজন কমাতে অনেকেই দুধ ও ফ্লেভারড কফির পরিবর্তে ব্ল্যাক কফিকেই বেশি পছন্দ করেন।
চায়েরও রয়েছে নানান উপকারিতা। গ্রীষ্মে গরম চা পান করলে শরীরের স্বাভাবিক হোমিওস্ট্যাটিক তাপমাত্রা ঠান্ডা হয়। এটি শরীরকে রিল্যাক্স করার পাশাপাশি হজমের সমস্যাও কমায়।
চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শরীরে পুষ্টি ও খনিজ শোষণ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি চা শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও কার্যকরী।
চা ও কফির উভয়ের সুবিধা থাকলেও গরমের দিনে চা-ই উত্তম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাফেইন শরীরে তাপমাত্রা বাড়ায় এবং শরীরকে ডিহাইড্রেট করে। চায়ে সঠিক পরিমাণে ক্যাফেইন থাকলেও কফিতে চায়ের থেকে বেশি মাত্রায় ক্যাফেইন থাকে। তাছাড়া ১ কাপ চায়ের পুষ্টিগুণ ১ কাপ কফির চেয়ে অনেক বেশি।
পাশাপাশি বাজারে ফ্লেভারড কফিগুলো অত্যন্ত ফ্যাট সমৃদ্ধ এবং ওজন কমাতে একেবারেই উপযুক্ত নয়। তাই গরমের এই সময়টাতে কফির চেয়ে চা-ই বেশি উপকারী।
এন-কে