বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে—কোভিড-১৯ মহামারির কারণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী এক কোটি ৪৯ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক ডা. টেড্রোস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস এক প্রেস বিবৃতিতে বলেছেন, কোভিডে মৃত্যুর এ উপাত্ত কেবল মহামারির প্রভাবের দিকেই ইঙ্গিত করছে না, বরং সব দেশকেই যে আরও শক্তিশালী স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিনিয়োগ করতে হবে তার প্রয়োজনীয়তার দিকেও ইঙ্গিত করে। সংকটের সময় অপরিহার্য স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলো বজায় রাখতে পারাসহ স্বাস্থ্যসংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে হবে বলেও মনে করেন ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক।
ডা. টেড্রোস আধানম বলেন, ‘ডব্লিউএইচও সব দেশের স্বাস্থ্য তথ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে ভালো সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আরও ভালো ফলাফলের জন্য আরও ভালো তথ্য-উপাত্ত তৈরি করে তাদের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
ডব্লিউএইচও বলছে, করোনায় ৮৪ শতাংশ মৃত্যু হয়েছে ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশে।
ডব্লিউএইচও বলছে, পুরুষের মৃত্যুর সংখ্যা নারীর তুলনায় বেশি ছিল। পুরুষের মৃত্যুহার ৫৭ শতাংশ আর নারীর ৪৩ শতাংশ। সংস্থাটি আরও বলছে যে, বয়স্ক ব্যক্তিদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ছিল।
বাংলাদেশে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনায় মৃতের সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৭২ জন। তবে, ডব্লিউএইচও বলেছে, বাংলাদেশে মৃত্যুর সংখ্যাটি অন্তত ৮৪ হাজার।
ডব্লিউএইচও’র নতুন তথ্যের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনায় মৃত্যু হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরটি–পিসিআর পরীক্ষা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মৃত্যুর যে তথ্য দিয়েছে, তা সে পরীক্ষার ভিত্তিতে।
এন-কে