নতুন ধান আসতে শুরু করলেও প্রভাব নেই চালের বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারিতে ৫০ কেজির বস্তায় দাম বেড়েছে ২০০ টাকা পর্যন্ত। এমন পরিস্থিতে চরম অস্বস্তিতে ভোক্তারা।
দেশের বৃহৎ পাইকারী মোকাম নওগাঁয় মাঝারি জাতের চালের দর ৫৮ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে যা ছিলো ৫৫ টাকা।
বাজার ঘুরে জানা গেলো, পুরাতন সরু জাতের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশী। এক কেজি কাটারী, নাজির শাইল, জিরা শাইল বা মিনিকেটে গুনতে হচ্ছে ৭০ টাকা। নন শর্টার বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। মিলগেট থেকে সরবরাহ কম। ফলে বাজারে ছড়িয়ে পড়েছে অস্থিরতা।
এদিকে চালের মূল্য বৃদ্ধির জন্য মিল মালিকদের দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা। একজন স্থানীয় চাল ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, দাম তো বাড়ায় মিল মালিকরা। যে চালের বস্তা গতকাল ২৬৫০ টাকা দিয়ে কিনলাম সেটাই আজকে ২৭০০ টাকায় বিক্রি করছে।
নওগাঁর ধান-চাল আড়ৎদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দন বলেন, প্রতিনিয়তই প্রায় আকাশ খারাপ থাকছে। ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছে। এ জন্য ধান বাঁচানোর চেষ্টা করলেও কিছুতেই বাঁচানো যাচ্ছে না। সরকারী গুদামগুলোতে সংগ্রহ চলছে ফলে কমছে না মোটা চালের দর। আবার হাটগুলোতেও বেড়েছে ধানের দাম।
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে ধানের দাম প্রতি মণে বেড়েছে দেড়শো থেকে দুইশো টাকা। যেহেতু ধানের দাম বেড়েছে, তাই চালের দামও বেড়েছে। বাজার যদি একবার ঊর্ধ্বমুখী হয়, তাহলে সেখান থেকে সহসাই সেখান থেকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে না।
জয়নিউজ/পিডি