অস্ট্রেলিয়ায় আজ শনিবার ভোট দিচ্ছেন দেশটির জনগণ। ২০১৯ সালের পর আবারও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশটিতে।
এবারের নির্বাচনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল পার্টির নেতা স্কট মরিসন অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বর্ষীয়ান রাজনীতিক লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি আলবেনিজের বিরুদ্ধে লড়ছেন। খবর বিবিসির।
জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় ও জলবায়ু পরিবর্তন ভোটারদের জন্য দুটি মূল বিষয় হিসেবে সামনে এসেছে। কিন্তু, এ নির্বাচনকে মূলত নেতাদের চরিত্রের ওপর গণভোট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
এদিকে জনমত জরিপ বলছে—লেবার পার্টি এবার স্বল্প সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ী হবে। তবে, গত নির্বাচনে করা জনমত জরিপ ব্যাপক ভুল প্রমাণ হয়েছিল।
লিবারেল-ন্যাশনাল কোয়ালিশনের নেতৃত্বদানকারী স্কট মরিসন জন হাওয়ার্ডের পর প্রথম কোনো নেতা যিনি পূর্ণ মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
জন হাওয়ার্ড ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ২০০৭ সালে লেবার পার্টির কেভিন রুডের কাছে হেরে যাওয়ার আগে জন হাওয়ার্ড চারটি নির্বাচনে জিতেছিলেন।
সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মহামারি চলমান সময়ে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন, যা প্রাথমিকভাবে সাফল্য হিসেবে স্বীকৃত হয়েছিল। কিন্তু, পরে অপর্যাপ্ত পরিকল্পনার জন্য তিনি সমালোচিতও হয়েছিলেন।
এদিকে, স্কট মরিসনও বিভিন্ন সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছেন। তাঁর নিজের দলের সদস্য থেকে শুরু করে ফরাসি প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ইস্যুতে মরিসনের সমালোচনা করেন।
মরিসন নিজেও স্বীকার করেছেন যে, তিনি জনপ্রিয় নেতা নন। মরিসন এও স্বীকার করেছেন যে, তিনি একজন ‘বুলডোজার’ হতে পারেন এবং একজন ‘আরও সংবেদনশীল’ নেতাও হতে পারতেন।
আলবেনিজ বলেছেন, প্রায় এক দশক ধরে তিন জন ভিন্ন নেতার অধীনে ক্ষমতায় থাকা অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণশীল সরকার যথেষ্ট সময় পেয়েছে।
লেবার পার্টির এ নেতা আরও বলেন, “এ সরকার প্রায় এক দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। এই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছিল চার বছর, এবং তিনি যা বলছেন তা হলো—‘যদি আপনি স্কট মরিসনকে ভোট দেন, আমি পরিবর্তন করব।’ সেজন্য আমি বলতে চাই, ‘আচ্ছা, পরিবর্তন চাইলে, সরকার পরিবর্তন করুন।
এন-কে