গল্পনির্ভর কাজে মন দিয়েছেন মুশফিক আর ফারহান। গেল কয়েক ঈদ-নাটকে থাকছেন আলোচনায়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। ঈদে মুক্তি পাওয়া সাত নাটকে প্রশংসা পাচ্ছেন অন্তর্জালে, সঙ্গে এগিয়ে আছেন হালের ইউটিউব ভিউর তালিকায়।
মুঠোফোনের এ প্রান্ত থেকে ফারহানকে মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছিল, শুরুতে এমনও সময় গেছে দৃশ্যে সুযোগ পেতে বসে থাকতে হয়েছে মধ্যরাত অবধি। অন্তর্জালে অনেকেই বলছেন, সেই ফারহান বর্তমান সময়ের নাটকের শীর্ষ তারকাদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন। সত্যিই কি?
গণমাধ্যমরে সঙ্গে আলাপে বিনয়ী মুশফিক আর ফারহানের উত্তর, ‘কাজ মুক্তি পেলেই অনেকে বলে সেরা বাংলা নাটক… স্ক্রিনশট আসে। আসলে কে সেরা, কে এক বা দুই নম্বর; এগুলো বলা অসুস্থ প্র্যাকটিস। এটা আসলে থাকা উচিত না। এখানে সেরার কিছু নেই। এক, দুই, তিন নম্বর বলতে কিছু নেই। কারণ, সিনিয়র আর্টিস্টরা সব সময় তাঁর জায়গাতেই থাকবেন। কাউকে সেরা বললে অন্যরা ডিমোটিভেটেড হয়ে যায়। একজন আর্টিস্টের ভালো কাজ করার জন্য দর্শকদের মোটিভেশন অনেক দরকার। যখন মোটিভেশনটা পাওয়া যায় না, তখন ভালো কাজ করা খুবই টাফ। মনোবল না থাকলে কাজের শক্তি পাওয়া যায় না।’
এবারের ঈদ-নাটক প্রসঙ্গে ফারহান জানালেন, ‘এবারের ঈদের নাটকগুলোর জন্য অনেক পরিশ্রম করেছি। এবারের নাটকগুলোতে গল্প ও আমার চরিত্র ভিন্নধর্মী ছিল। লোকেশনে ভ্যারিয়েশন ছিল। প্রত্যেকটা কাজই কষ্ট করে করতে হয়েছে। চরিত্র নিয়ে গবেষণা করেছি। বিহাইন্ড দ্য স্টোরি ছিল খুবই প্যাথেটিক।’
তবে এসব কষ্ট সার্থক হয়েছে বলে মনে করেন মুশফিক আর ফারহান। বলছিলেন, ‘কষ্টটা আসলে কষ্ট মনে হয় না, যখন নাটকগুলো প্রচার হয়েছে, দর্শকের কাছ থেকে ফিডব্যাক পেয়েছি পজিটিভ। পরিচিত বন্ধু থেকে শুধু করে সাধারণ মানুষের পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। তখন আর কষ্টটা কষ্ট মনে হয় না। সেই অর্থে আমি বড় কোনও শিল্পী নই, তবুও সাপোর্ট পাচ্ছি। চেষ্টা করে যাচ্ছি নিজের ভালো কিছু কাজ দর্শকের সামনে নিয়ে আসার।’
রেডিও জকি হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও নাটকে পরিচয় পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে মুশফিক আর ফারহানকে।
এন-কে