নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী আগামী বছর থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিন ঠিক রেখেই জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) সোমবার প্রায় ৪ ঘন্টাব্যাপী বৈঠকে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে শিক্ষাক্রমের নতুন রূপরেখার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
রূপরেখা অনুযায়ী ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুদিন ছুটি থাকবে। অন্যদিকে প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষাও থাকছে না অনুমোদিত রূপরেখা অনুযায়ী।
বৈঠকে প্রায় ৮০ সদস্য যোগ দেন। তাদের মধ্যে ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটি (এনসিসিসি) এবং শিক্ষাক্রম উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, অনুমোদিত নতুন শিক্ষাক্রমের রূপরেখায় প্রাথমিকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা থাকছে না। চতুর্থ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়তে হবে আটটি বই।
তবে সব শ্রেণিতেই শিখনকালীন মূল্যায়নেই বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পদ্ধতিতে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা থাকছে না।
এর আগে গতবছরের সেপ্টেম্বরে এই রূপরেখার খসড়া প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী সেদিনই এটা নীতিগত অনুমোদন দেন।
এর ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ষষ্ঠ শ্রেণিতে ২০২৩ সালে নতুন পাঠ্যপুস্তক প্রবর্তনের লক্ষ্যে শিক্ষাক্রমের পাইলটিং শুরু করে দেয়। কিন্তু বাগড়া দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
যেহেতু আন্তঃমন্ত্রণালয়ে বিশেষ করে এনসিসিসির বৈঠকে এটি অনুমোদন না পেলে আইনগত ভিত্তি পায় না, তাই এই কথাই বিতর্কে বারবার উঠে আসছিল।
এই অবস্থায় সোমবারের বৈঠক ডাকা হয়। এর ফলে জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা-২০২১ আইনগত ভিত্তি পেলো বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
জয়নিউজ/টিটি