চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে বললেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
আজ রবিবার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্র্যাব) নব-নির্বাচিত কমিটির সঙ্গে মতবিনিময় ও সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এত বড় একটি ঘটনা ঘটেছে, এটি সত্যিকার অর্থে দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা সেটি খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগে খতিয়ে দেখার সুযোগ নেই। তিনি বলেন, তাদের সব কমপ্লায়েন্স ছিল কি না সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। তারা সব কমপ্লায়েন্স করে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কি না সেটি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে।
যদি তাদের কমপ্লায়েন্স না থাকে সে ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে। কমপ্লায়েন্স থাকার পরও যদি এ ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তে বেরিয়ে আসবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন এবং সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছেন। আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া আছে। তারা ঝাঁপিয়েও পড়েছেন।
যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, আমাদের সহযোগী সংগঠনের অন্য নেতাকর্মীরা সেখানে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তাদের নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেখানে রক্ত দেওয়া লাগে, সেখানে রক্ত দেওয়ার জন্য, সার্বিক সহযোগিতার জন্য।
গতকাল শনিবার (৪ জুন) রাত ১০ টায় লাগা আগুন রবিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর টিম কাজ করছেন।
সন্ধ্যা ৬ টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোর ধ্বংসস্তূপ থেকে ফায়ার ফাইটারসহ ৪৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত হয়ে চমেকে ভর্তি রয়েছেন ১৩৫ জন। অন্যান্য হাসপাতালে আরও শতাধিক চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিহতদের মধ্যে এখন পর্যন্ত চারজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, বাঁশখালীর মমিনুল হক (২৪), মো. মহিউদ্দীন (২৪), ভোলা জেলার হাবিবুর রহমান (২৬) ও বাঁশখালীর রবিউল আলম (১৯)।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল ফায়ার সার্ভিসের টিম। এদিকে স্বজন হারানোদের দাবী, এখনও বহু মানুষ নিখোঁজ রয়েছে।
জেএন/টিটি