চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড সোনাইছড়ির বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৩৪ বছরের ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি মর্মান্তিক বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ।
তিনি বলেন, হতাহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে৷ যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ডিপোতে কাজ করতে গিয়ে কর্মীরা আহত হয়েছেন এবং ফায়ারম্যান ও পুলিশ উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছে। এরমধ্যেই তদের চিকিৎসায় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। এখনো এখান থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে।
অতএব স্থানটি এখনো নিরাপদ না। আশা করছি সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে পারবো। তিনি বলেন, সরকারিভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইজিপি বলেন, ‘এখনও বিএম কনটেইনার ডিপো থেকে ধোঁয়া নির্গত হচ্ছে। জায়গাটি এখনও নিরাপদ না। সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে সেখানে কাজ শেষ করতে পারবো বলে আশা করছি।’ বিএম ডিপোতে দুর্ঘটনার তিনদিন পর পুলিশ কন্ট্রোল রুম ও ব্রিফিং সেন্টার খুলেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারী এলাকার বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের ১৮৩ কর্মী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছেন।
এছাড়া নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও কুমিল্লাসহ আশপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ করেছেন।
ডিপোতে আমদানি-রপ্তানির বিভিন্ন মালামালবাহী কনটেইনার ছিল। ডিপোর কনটেইনারে রাসায়নিক ছিল, বিকট শব্দে সেগুলোতেও বিস্ফোরণ ঘটে।
সরকারি হিসেব অনুযায়ী এখন পর্যন্ত সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর অগ্নিকাণ্ডের ৪১ জন নিহত ছিল। আজ নতুন করে আরো দুটি মরদেহবাশেষ উদ্ধার হওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৩ টি।
দগ্ধ ও আহত ১৬৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রাতেই শনাক্ত হওয়া নিহতদের জেলা প্রশাসনের সহায়তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/টিটি