অস্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) তৈরি বিশ্ব শান্তির সূচকে (জিপিআই) ২০২২ সালে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬তম।
বুধবার অস্ট্রেলিয়ার এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান বৈশ্বিক শান্তি সূচক-২০২২ প্রকাশ করে। সূচকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শান্তিতে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ।
বুধবার প্রকাশিত সূচকের ১৬তম সংস্করণে ১৬৩টি স্বাধীন রাষ্ট্র ও অঞ্চলকে তাদের শান্তির স্তর অনুসারে পরিমাপ করে তালিকায় স্থান দিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার এই গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
সংবাদমাধ্যম বলছে, বুধবার প্রকাশিত সূচকের ১৬তম সংস্করণে শান্তির দিক থেকে বাংলাদেশকে মধ্যম বিভাগে রাখা হয়েছে। সূচকে বাংলাদেশ বৈশ্বিকভাবে তার অবস্থানের উন্নতি করলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে এর অবস্থানের অবনতি হয়েছে।
বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার চতুর্থ শান্তিপূর্ণ দেশ। শান্তির সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের ওপরে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া ভুটান, নেপাল ও শ্রীলঙ্কা তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশের ওপরে। আরও স্পষ্ট করে বললে গত বছর বাংলাদেশের দখলে থাকা স্থানটিতে চলতি বছর জায়গা পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়ার ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে যে, দক্ষিণ এশিয়ায় গত এক বছরে সব অঞ্চলের মধ্যে শান্তিতে সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে। তবে এরপরও এটি সামগ্রিকভাবে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন শান্তিপূর্ণ অঞ্চল রয়ে গেছে।
দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ দেশ হিসেবে নাম রয়েছে ভুটানের। অন্যদিকে বৈশ্বিকভাবে এই দেশটির অবস্থান ১৯তম। এছাড়া এই দেশটি ইউরোপ, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং উত্তর আমেরিকার বাইরে জিপিআই-তে সর্বোচ্চ র্যাংকযুক্ত দেশ।
অন্যদিকে চলতি বছর বাংলাদেশের জায়গায় এসেছে শ্রীলঙ্কা। জিপিআইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিসংখ্যান বিবেচনায় নেওয়ার কাট-অফ তারিখের পর শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক সংকট ও রাজনৈতিক সংঘাত ঘটেছে।
তবে এর আগেই সামগ্রিক স্কোরে ৩.৬ শতাংশ উন্নতি করে ৯০তম অবস্থানে চলে আসে শ্রীলঙ্কা।
এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর মধ্যে বৈশ্বিক শান্তি সূচকে নেপাল ৭৩তম অবস্থানে, ভারত ১৩৫তম অবস্থানে এবং পাকিস্তান রয়েছে ১৪৭তম অবস্থানে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড পিসের (আইইপি) তৈরি বিশ্ব শান্তির সূচকে বাংলাদেশ ২০২২ সালে ২.০৬৭ স্কোর করেছে। অন্যদিকে গত বছর এই স্কোর ছিল ২.০৬৮। মূলত কোনো দেশের স্কোর যত কম হয়, সেই দেশ তত শান্তিময়।
জেএন/টিটি