পদ্মা সেতুর দুই পাড়ের অধিবাসী, সেতুতে চলাচলরত যানবাহন আর যাত্রীদের নিরাপত্তাতেও নেওয়া হয়েছে যাবতীয় সব ধরনের ব্যবস্থা। এ জন্য সেতুর দুই তীরে গড়ে তোলা হয়েছে ‘পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা ও পদ্মা সেতু (দক্ষিণ) থানা’ নামে দুই থানা। এরই মধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে চারতলাবিশিষ্ট সুদৃশ্য দুটি থানা ভবনও। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন এ দুই থানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী উপমহাপরিদর্শক (মিডিয়া) মো. কামরুজ্জামান বলেন, পদ্মা সেতুর দুই তীরে নতুন দুই থানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের পুলিশ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গণভবন প্রান্ত থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন দুই থানার উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রী একই অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্তৃক দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্মিত ১২০টি গৃহ হস্তান্তর, পুলিশ হাসপাতাল আধুনিকায়ন প্রকল্পের আওতায় ১২টি পুলিশ হাসপাতাল, ছয়টি নারী ব্যারাক এবং অনলাইন জিডির কার্যক্রমেরও উদ্বোধন করবেন।
পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে টোল প্লাজার অদূরে পদ্মা সেতু (উত্তর) থানা এবং জাজিরা প্রান্তে টোল প্লাজার অদূরে দক্ষিণ থানার অবস্থান। এরই মধ্যে প্রতিটি থানায় একজন অফিসার ইনচার্জ, তিনজন উপপরিদর্শক, দু’জন সহকারী উপপরিদর্শক, ১৭ ফোর্সসহ মোট ২৫ জনের জনবল নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। সেতুর জাজিরা পয়েন্টে দক্ষিণ থানার আওতায় থাকবে নাওডোবা ও পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন। মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে উত্তর থানার আওতায় থাকবে মেদিনীমণ্ডল ও কুমারভোগ ইউনিয়ন। আগে এই চারটি থানা যথাক্রমে শরীয়তপুরের জাজিরা থানা ও মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থানা এলাকার মধ্যে ছিল।
দক্ষিণ থানার ওসি শেখ মাহফুজুর রহমান বলেন, তাঁরা নিরাপত্তা সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। থানার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের দিন থেকেই দায়িত্বরত এলাকায় অধিবাসীদের আইনি সেবা দেওয়া হবে। তবে ২৫ জুন পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পরের দিন থেকে সেতু এলাকায় সব ধরনের পুলিশি সেবা চালু হবে।
উত্তর থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর উত্তর থানা পুলিশ এ অঞ্চলের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সচেষ্ট থাকবে। এ ছাড়া থানা এলাকায় কোনো যাত্রী সমস্যার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক তাঁকে আইনি সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় সেবা প্রদান করা হবে।
জেএন/এমআর