রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
শুক্রবার ছাড়পত্র পাওয়ার পর হাসপাতালের নানা প্রক্রিয়া শেষ করে বিকাল সোয়া ৬টার দিকে গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজায়’ পৌঁছান সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদার জানান, হার্টের যে ঝুঁকি নিয়ে খালেদা জিয়া হাসপাতালে এসেছিলেন- তা এখন স্থিতিশীল আছে। কিন্তু তিনি এখনো সুস্থ হননি। দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালে তাকে রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তাই বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেডিকেল বোর্ড।
গত ১০ জুন গভীর রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের অধীনে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। পরে দ্রুত এনজিওগ্রাম করে তার হার্টে একটি রিং বসানো হয়। তার শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা জানাতে এভারকেয়ার হাসপাতালের অডিটোরিয়ামে শুক্রবার বিকালে সংবাদ সম্মেলন করে মেডিকেল বোর্ড। এতে বোর্ডের প্রধান ডা. শাহবুদ্দিন তালুকদার বলেন, ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) এখনো অসুস্থ। তিনি যে অবস্থায় হাসপাতালে এসেছিলেন সেই অবস্থা এখন স্থিতিশীল। কিন্তু অন্যান্য উপসর্গ যেমন লিভার সিরোসিসের রক্তক্ষরণ বিপজ্জনক অবস্থায় আছেন। কিডনি সমস্যা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে। হার্টের দুইটা ব্লক এখনো রয়ে গেছে। তবে সার্বিক পরিস্থিতি কোভিড বাড়ছে বলে মেডিকেল বোর্ড সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাকে আপাতত বাসায় নেয়া হোক। পরে যদি কোনো কমপ্লিকেশন হয় তাহলে তাকে আবারও হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে হাসপাতাল থেকে বাসার উদ্দেশে রওনা হন খালেদা জিয়া। তার ছোট ভাইয়ের গাড়িতে করে ‘ফিরোজায়’ পৌঁছান তিনি। এ নিয়ে গত দেড় বছরে পাঁচ দফা তাকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
৭৭ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভার সেরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আথ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় রয়েছে তার।