পদ্মা সেতু সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার দিনেই ঘটে মর্মান্তিক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা। ১০৫ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে নিহত হন দুই যুবক। অথচ সেতুতে গাড়ির গতি ৮০ কিলোমিটারের ওপরে তোলা নিষিদ্ধ।
দুর্ঘটনার পর পরই পদ্মা সেতুতে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এতে বিপাকে পড়েন রোববার সেতু পাড়ি দিয়ে দুই প্রান্তে আসা বাইকাররা। তারা কীভাবে নিজেদের বাড়ি ফিরবেন মোটরসাইকেল নিয়ে সে দুশ্চিন্তায় ভুগছিলেন।
আর সেই দুশ্চিন্তা লাঘব করে দিয়েছে নতুন এক কৌশল। পিকআপ-ভ্যানে উঠিয়ে তারা তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিচ্ছেন।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সোমবার সকালে এমন চিত্রই দেখা গেল। এ নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল ফেসবুকে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ট্রাকে করে মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছেন চালকরা।
তাদের একজন বললেন, হঠাৎ এই নিষেধাজ্ঞায় খরচটা বেড়েই গেল। নিজে চালিয়ে পদ্মা সেতু পার হলে ১০০ টাকা টোল দিতে হতো। এখন পিকআপ-ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ে যেতে প্রতি মোটরসাইকেলে ৪০০ টাকা করে গুনতে হচ্ছে। তবে এভাবে মোটরসাইকেল নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন বলে খুশি তারা।
এর আগে গতকাল পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুজন মারাত্মক আহত হন। আহত দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার আগে চলন্ত মোটরসাইকেলে বসে ভিডিও করছিলেন নিহতের মধ্যে একজন।
ভিডিওতে দেখা যায়, মোটরসাইকেলটির গতি প্রায় ৮০ থেকে ১০৫ ওঠানামা করছিল। এ সময় হঠাৎ একটি ট্রাকের সামনে ডানে গিয়ে মোটরসাইকেলের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সামনে পড়ে যান। এতে দুজনই গুরুতর আহত হন। পরে ওই যুবককে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতরা হলেন— মো. আলমগীর হোসেন (২২) ও মো. ফজলু (২১)। তারা ঢাকার দোহার-নবাবগঞ্জের বাসিন্দা। নিহত আলমগীর মোটরসাইকেল মেরামতের কাজ করতেন। আর ফজলু প্রবাসী। এক মাস আগে তিনি দেশে এসেছেন।
এ ঘটনার পর সোমবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের নোটিশ জারি করেছে সেতু বিভাগ।
জেএন/এমআর