চলমান বন্যায় এখন পর্যন্ত সারাদেশে পানিবাহিতসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৭৩১ জন। এছাড়াও বন্যায় নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে এবং বন্যা সৃষ্ট দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭ জনে।
মঙ্গলবার (২৮ জুন) বিকেলে দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বন্যাজনিত কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় (এক দিনে) আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এ সময়ে নতুন করে ৮৫২ জন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত ৮৭ জন মারা গেছেন। সিলেট বিভাগেই ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ১৮, সুনামগঞ্জে ২৬, মৌলভীবাজারে ৪ ও হবিগঞ্জে ৫ জন মারা গেছেন।
ময়মনসিংহ বিভাগে বন্যাজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে ২৮ জনের। এর মধ্যে ময়মনসিংহে ৫, নেত্রকোণায় ৯, জামালপুরে ৯ ও শেরপুরে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রংপুর বিভাগে এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামে ৪ ও লালমনিরহাটে একজন মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওই প্রতিবেদনে দেখা যায়, গত ১৭ মে থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত দেশে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২৪৪ জন। তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ডায়রিয়ায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরটিআই (চোখের রোগ) রোগে আক্রান্ত হয়েছে ৩১১ জন, এ রোগে কারো মৃত্যু হয়নি।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বন্যাকবলিত এলাকায় বজ্রপাতে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ জন, তাদের মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। সাপের দংশনে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছেন, দুজনের মৃত্যু হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬১ জনের। চর্ম রোগে ৪৮৩, চোখের প্রদাহজনিত রোগে ১৪৪ ও নানাভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। এছাড়া অন্যান্য রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৯৯ জন এবং তাদের মধ্যে মারা গেছেন ৯ জন।
জেএন/এমআর