জিম্বাবুয়ে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাংলাদেশ সফরে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য ক্রিকেট ম্যাচগুলোকে ঘিরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) নিয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এবার পুলিশের পাশাপাশি প্রস্তুত থাকছে র্যাব, এপিবিএনসহ আইনশৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থা।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় সিএমপি সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবুর রহমান।
তিনি বলেন, খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রামে অক্টোবরে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে দুইটি ওয়ানডে ম্যাচ এবং নভেম্বরে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে একটি প্র্যাকটিস ম্যাচ ও একটি টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মাথায় রেখে সকল সংস্থা ও বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে আমরা নিরাপত্তা সমন্বয় সভা করেছি।
সিএমপি কমিশনার বলেন, নির্বাচন অত্যাসন্ন। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্ছিদ্র করেছি। আশা করি সকল সংস্থার সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে ম্যাচগুলোতে পূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারবো। খেলোয়াড়রা পাঁচ তারকা হোটের রেডিসন ব্লুতে অবস্থান করবেন। সেখান থেকে মাঠে আনা-নেওয়ার জন্য থাকবে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইমার্জেন্সিতে আমাদের কুইক রেসপন্স টিম, সোয়াত ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট প্রস্তুত থাকবে। জরুরি অবস্থায় সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশন এবং বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
দর্শকদের উদ্দেশে সিএমপি কমিশনার বলেন, যারা খেলা দেখতে আসবেন তারা ধাতব কোনো কিছু সঙ্গে আনবেন না। ব্যানার, ফেস্টুন, মার্বেল, পাথর ও এ জাতীয় কোনো কিছুও যাতে সঙ্গে না থাকে।
বিসিবি সূত্রে জানা যায়, ২৪ ও ২৬ অক্টোবর জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যে দুইটি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ নভেম্বর ও ১৯ নভেম্বর বিসিবি একাদশের সঙ্গে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই দিনের প্র্যাকটিস ম্যাচ ও ২২ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কুসুম দেওয়ান, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) আমেনা বেগম, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, বিসিবি, বিভাগীয় কমিশনার, সিডিএ, র্যাব-৭, জেলা প্রশাসন, ভেন্যু ম্যানেজার, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, ডিজিএফআই, এনএসআই, চমেক হাসপাতাল, ওয়াসা, এপিবিএন, রেলওয়ে পুলিশ, বিভাগীয় তথ্য অফিস, পিডিবি, বিটিসিএল, সিভিল সার্জন, বিআরটিএ, এয়ারপোর্ট ম্যানেজার, সিসিএল, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, হোটেল রেডিসন ব্লুসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/ফারুক/জুলফিকার