ঈদের আগে ও পরে সাত দিন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় মোটরসাইকেল চালানো যাবে না। বন্ধ থাকবে মহাসড়কে রাইড শেয়ারিং। রোববার (৩ জুলাই) সড়ক পরিবহন সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী এ তথ্য জানান। ৭ জুলাই থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত এটি বলবৎ থাকবে।
সরকারি এ নির্দেশনা পরিপালনে আগামী ৭ জুলাই থেকে রাজধানীর প্রবেশমুখে প্রতিটি মোটরসাইকেল আটকানো হবে। তবে রাজধানী থেকে আশপাশে ঢাকা জেলার অধীন কোনো গন্তব্যে চলাচলকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান বলেন, সরকারিভাবে নির্দেশনা জারি হয়েছে, ঈদের আগে ও পরে মোট সাত দিন জেলা থেকে জেলায় মোটরসাইকেল চলবে না। আমরা এটি খুবই শক্তভাবে প্রতিপালন করব।
তিনি বলেন, গত ঈদে অনেক মানুষ মোটরসাইকেলযোগে দূরদূরান্তে গেছেন ঈদ করতে। পথে যেমন দুর্ঘটনা ঘটেছে তেমনি যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী তাই এবার রাজধানীর প্রতিটি প্রবেশপথে পুলিশের চেকপোস্ট থাকবে। রাজধানী থেকে থেকে সাভার-আমিনবাজারসহ ঢাকা জেলার আওতাধীন এলাকা বাদে অন্য কোনো জেলার মোটরসাইকেল চলাচল করতে দেওয়া হবে না।
তবে তিনি বলেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে ছাড় দেওয়া যেতে পারে, যেমন কেউ মুমূর্ষু রোগী নিয়ে আসছেন বা জরুরি হাসপাতালে যেতে হবে। এর বাইরে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ১২ দফা নির্দেশনা দিয়েছে। এসব নির্দেশনা পালনে নগরবাসীকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
১২ দফা নির্দেশনা
১. রাজধানীতে দূরপাল্লার ও আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের অভ্যন্তরে এবং বাইরের সড়কে বাস রেখে বা থামিয়ে যাত্রী ওঠাবে না। যাত্রীরা টার্মিনালের ভেতরে থাকা অবস্থায় বাসের আসন গ্রহণ করবেন। সংশ্লিষ্ট বাসের প্রতিনিধিদের এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
২. ঢাকা মহানগরে আন্তঃজেলা ও দূর পাল্লার বাস টার্মিনাল সংলগ্ন প্রধান সড়কের অংশ দখল করে দাঁড়াবে না।
৩. ভ্রমণকালে ঢাকার প্রবেশ ও বাহিরপথের গণপরিবহনগুলোর শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। অযাচিত যানজটের সৃষ্টি করা যাবে না।
৪. ছেড়ে যাওয়া দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন থেকে নিবৃত থাকতে হবে।
৫. আন্তঃজেলা পরিবহনের যাত্রীগণ বা গমন প্রত্যাশীদের প্রধান সড়কে এসে অপেক্ষা বা দাঁড়িয়ে না থেকে টার্মিনালের ভিতরে অবস্থান করার জন্য আহ্বান জানানো হলো।
৬. দূরপাল্লার রুট পারমিটবিহীন বা অননুমোদিত রুটে কোনো বাস চলাচল করতে পারবে না।
৭. বাসের ভেতর যাত্রীদের অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু না খাওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
৮. সংশ্লিষ্ট যাত্রীরা অবশ্যই যানবাহনে টিকিট সঙ্গে রাখবেন।
৯. যাত্রীরা মালামাল নিজ হেফাজতে সাবধানে রাখবেন।
১০. কোনো যানবাহনই ছাদের উপর অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে না।
১১. যাত্রী তোলার ক্ষেত্রে বাসের চালকরা এমন কোন অসম প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন না যেন সড়কের শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটে ও জীবনহানির সম্ভাবনা থাকে।
১২. করোনার প্রকোপ-ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে পরিবহন চালক ও যাত্রী সবাইকেই মানতে হবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি।
যেকোনো প্রয়োজনে ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম : ০১৭১১-০০০৯৯০ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা : ৯৯৯ এ কল করার জন্য অনুরোধ করা হলো।
জেএন/এমআর