একদিকে দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
কিন্তু সব সমালোচনা এড়িয়ে বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াসা। যা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
সংস্থাটির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সংস্থাটির বোর্ডসভায় পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ নিয়ে গত ১৪ বছরে অন্তত ১৫ বার বাড়ানো হলো পানির দাম। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে ও ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মিলে মোট দুই দফা পানির দাম বাড়ানো হয়েছিল। এ দুই দফায় আবাসিকে প্রতি ১ হাজার লিটারে পানির দাম বেড়েছিল ৩ টাকা ৬১ পয়সা (৩১ শতাংশ)। বাণিজ্যিকে বেড়েছিল ৪ টাকা ৯৬ পয়সা (১৩ শতাংশ)।
বর্তমানে আবাসিক গ্রাহকদের ক্ষেত্রে এক হাজার লিটার পানির দাম ১৫ টাকা ১৮ পয়সা। আর বাণিজ্যিক সংযোগের ক্ষেত্রে এক হাজার লিটার পানির দাম ৪২ টাকা। সেপ্টেম্বর থেকে এ দামের সঙ্গে ৫ শতাংশ অতিরিক্ত যুক্ত হবে।
পানির দাম বাড়ানো সম্পর্ক ঢাকা ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব দীপ আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমান মূল্যস্ফীতির কথা বিবেচনায় রেখে পানির দাম ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।
পানির দাম বাড়ানোয় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন ওয়াসা পানির মান নিয়ে সবসময় আলোচনা-সমালোচনা করা ব্যক্তি মিজানুর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ এখন দিশেহারা। এরমধ্যে বছর বছর পানির দাম বাড়াচ্ছে ওয়াসা। আবার ওয়াসার পানির মান নিয়ে রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। তিনি বলেন, মাস তিনেক আগে ঢাকায় ডায়রিয়ার প্রকোপ খুব বেড়েছিল। দেখা গেছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের অধিকাংশই জুরাইন, কদমতলী এলাকায়। এসব এলাকায় ওয়াসার নোংরা পানি খেয়েই মানুষের ডায়রিয়া হয়েছিল। এখনো আসা উচিত পানির দাম না বাড়িয়ে, পানির মান বাড়ানো।
জেএন/এমআর