হাটহাজারীতে পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাংকিতে মিলেছে নিখোঁজ কিশোরীর গলিত মৃতদেহ।
বুধবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দানু মিয়া কোম্পানীর ইটভাটা সংলগ্ন পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাংকি থেকে কলি আক্তার (১৬) নামে স্থানীয় এক কিশোরীর গলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশ।
কলি আক্তার মির্জাপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের খিল্লা পাড়া (তুয়ান বাপের বাড়ি) এলাকার আচার বিক্রেতা ছোট্টু মিয়ার মেয়ে।
হাটহাজারী থানা পুলিশ জানায়, দানু মিয়া কোম্পানির ইটভাটার পাশ দিয়ে চলাচলের সময় দুর্গন্ধ পেয়ে উৎসুক জনতা গন্ধের উৎস খুঁজতে থাকে। এ সময় তারা ইটভাটাসংলগ্ন পরিত্যক্ত শৌচাগারের ট্যাংকির উপরের ঢাকনা খুললে সেখানে একটি গলিত মৃতদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মাসুমের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিশোরীর গলিত মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নিহত কিশোরীর মামা মো. শহিদ ও বাচু আক্তার অভিযোগ করেন, প্রায় এক বছর ধরে মির্জাপুর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া সন্দ্বীপ কলোনীর মো. নাছিরের পুত্র তিন সন্তানের জনক মো. নজরুল মিঠু প্রকাশ হ্নদয় নামে এলাকার এক ব্যক্তি কলি আক্তারকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এমনকি বিয়ের প্রস্তাবও দিয়েছিল। কিন্তু ওই ব্যক্তি বিবাহিত হওয়ার কারণে নিহতের পরিবার ও কলি আক্তার তাতে রাজি না হওয়ায় গত শনিবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে যায় মিঠু। মান-সম্মানের কথা ভেবে বিষয়টি গোপন করা হয়।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর দাবি, ওই ব্যক্তির প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় কলিকে অজ্ঞাত স্থানে তুলে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
হাটহাজারী থানার ওসি (তদন্ত) মো. শামীম শেখ মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানান, মিঠু নামে এক ব্যক্তি কিশোরী কলিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। গত শনিবার তাকে ওই যুবক অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। তবে এসব তথ্য না দিয়ে শুধু নিখোঁজ হয়েছে জানিয়ে নিহত কলির বাবা ছোট্টু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি ডায়েরি (নম্বর-৮৪৬/১৮) করেছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জয়নিউজ/জুলফিকার