তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে আগে বোলিং করেছে বাংলাদেশ। নাসুম আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ঘূর্ণি বিষে নাকালি-চুবানি খেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্বাগতিকরা অলআউট হয়েছে ১০৮ রানে।
গায়ানায় টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। পেসার তাসকিন আহমেদকে বাদ দিয়ে একাদশে নেওয়া হয় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। দলের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে মোসাদ্দেক বেশি সময় নেননি। প্রথম উইকেটটা তিনিই এনে দেন, বোল্ড করেন কাইল মেয়ার্সকে। ২৭ রানে ভাঙে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উদ্বোধনী জুটি।
শামার ব্রুকসকে বোল্ড করে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেটটি পান নাসুম। একই ওভারে ক্যারিবীয় অধিনায়ক নিকোলাস পুরানকেও বোল্ড করেন নাসুম। জোড়া আঘাত পেয়ে ৪৫ রানে চার উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। খুবই ধীরগতিতে রান তুলতে থাকে স্বাগতিকরা।
শরিফুল ইসলাম বোলিংয়ে এসেই রোভম্যান পাওয়েলের উইকেট বাগিয়ে নেন। ৩০ গজের ভেতরেই মাহমুদউল্লাহর তালুবন্দী হয়ে সাজঘরে ফেরেন পাওয়েল। পরের ওভারেই ব্রেন্ডন কিংকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিং রান না করতে পারলেও মাটি কামড়ে দাঁড়িয়েছিলেন ক্রিজে। ৪৪ বলে ১১ রান করে মিরাজের বলে বোল্ড হন তিনি। একই ওভারে রান-আউট হন অকিল হোসেন।
দুই ওভার পরেই আবার জোড়া আঘাত হানেন মিরাজ। টানা দুই বলে তিনি শিকার করেন রোমারিও শেফার্ড (বোল্ড) ও আলজারি জোসেফকে (ক্যাচ)। ৮৬ রানে নয় (৯) উইকেট হারিয়ে অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকে ক্যারিবিয়ানরা। তবে কিমো পলের ব্যাটে চড়ে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে দলটি।
গুডাকেশ মোটিকে নিয়ে শেষ উইকেটে ২২ রানের জুটি গড়েন কিমো পল। মোটিকে আউট করে ক্যারিবীয়দের অলআউট করেন মিরাজ। তিনি পান চারটি উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থামে ১০৮ রানে।
নাসুম ১০ ওভারে মেডেন ওভার করেন চারটি, তিনি উইকেট পান তিনটি। এই বাঁহাতি স্পিনার ডট বল করেছেন ৪৮টি, যা ওয়ানডেতে বাংলাদেশিদের মধ্যে এক ম্যাচে তৃতীয় সর্বোচ্চ ডট বলের রেকর্ড। নাসুম খরচ করেছেন ১৯ রান।
জেএন/এমআর